E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে

শেরপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ে বৈঠক

২০১৪ মে ০৭ ১৪:৫৩:১১
শেরপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ে বৈঠক

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু সীমান্তের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে ৭ মে বুধবার বিজিবি ও বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে ভারতীয় বিএসএফ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিএসএফ প্রধানের আমন্ত্রণে বিজিবি’র মহাপরিচালক ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বিজিবি‘র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আজিজ আহমদের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিসুর রহমান, ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার কর্নেল শেখ মনিরুজ্জামান, ২৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল নজরুল ইসলাম। বিএসএফ মহাপরিচালক ডি. কে পাঠান ছাড়াও বিএসএফের ৩৬ ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার বি.ডি. শর্মা সহ বিএসএফ’র উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বীরপ্রতীক ও বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ অংশগ্রহণ করেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১২ টায় বিজিবি মহাপরিচালক মে. জে. আজিজ আহমেদসহ কর্মকর্তারা শেরপুর জেলার নালিতাবড়ি উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর সড়ক পথে ভারতের ডালু বিএসএফ কিল্লাপাড়া ক্যাম্পে যান। বিএসএফের ৩৬ ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার বি.ডি. শর্মা ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নো-ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় বিজিবি কর্মকর্তাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানায়। এসম ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা উভয় দেশের পতাকা এবং ফুল ছিটিয়ে তাদের অর্ভ্যথনা জানান। বিএসএফ সদস্যদের গার্ড অব অনার প্রদানের পর কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ভারতের ৯ বিএসএফ সদস্যসহ শহীদদের স্মরনে নির্মিত স্মুতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে বৈঠকে বসেন উভয় দেশের বিএসএফ ও বিজিবি কর্মকর্তারা। এসময় বিজিবি ও বিএফএফ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৪ কমান্ডার এবং শহীদ পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক ম. হামিদ। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরো জোরদার এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ করার ব্যাপারে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিজি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিজিবি’র ২৭ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর আমজাদ হোসেন নাকুগাঁও বিজিবি চেকপোষ্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় তিনি বলেন, শেরপুর সীমান্তে শাহাদাতবরনকারী বিএসএফ সদস্যদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে বিএসএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক অংশগ্রহণ করেন। এসময় শ্রদ্ধা প্রতি নিবেদন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমুলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে দুইদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, চোরাচালন রোধ ও বিভিন্ন সীমান্ত সমস্য নিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মে নাকুগাঁও ও ডালু কিল্লাপাড়ায় পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের শহীদ ৯ জন বিএসএফ স্মরণে ক্যাম্প সংলগ্ন ডালু এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলে সে ভারতীয় সরকার। তবে বাংলদেশ অংশের ওই স্থানটি আজো অযত্বে-অবহেলায় পড়ে আছে।
(এইচবি/এএস/মে ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test