E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বিনাকারণে কুয়াকাটাগামী একশ ফুট রাস্তা উপড়ে ফেলা হয়েছে

২০১৫ জানুয়ারি ১৬ ১৮:১৪:০২
বিনাকারণে কুয়াকাটাগামী একশ ফুট রাস্তা উপড়ে ফেলা হয়েছে

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাখিমারায় দুটি স্পটে প্রায় একশ ফুট রাস্তার সীলকোট উপড়ে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোলার দিয়ে সীলকোট উপড়ে ফেলা হয়। হঠাৎ করে কোন কারন ছাড়াই সিলকোট উপড়ে ফেলা হচ্ছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এ খবর পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ গিয়ে খোড়াখুড়ির কাজ বন্ধ করে দেয়। কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতেই এ রাস্তা খোঁড়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দি-রুপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এর রোলার চালক মো.টোকন শুক্রবার সকালে ১০/১২ জন লেবার নিয়ে সড়কটির ওই স্পটের (২৪তম অংশে) সীলকোট উপড়ে ফেলতে থকে। পুলিশ গিয়ে রাস্তা খোড়ার কাজ বন্ধ করে দেয়া। এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সওজ প্রকৌশলীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। সড়ক বিভাগের কুয়াকাটার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর অভিযোগ তাদেরকে না জানিয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই পর্যটন এলাকার সহাসড়ক খোড়ার ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রাস্তাটি খুড়ে কুয়াকাটার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য এসব করছিল বলে তাদের অভিযোগ।

সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পান্না মিয়া জানান, সড়কটির রেকটিফিকেশনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন নির্দেশনা কিংবা দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। হঠাৎ করে সীলকোট তুলে চলাচলের অনুপযোগী করা হচ্ছিল। সওজের দাবি ২০১০ সালে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে দি-রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স। কিন্তু ত্রুটিপুর্ণ কাজের জন্য তাদের বিল আটকে দেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

রোলার চালক টোকন জানান, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাশেদুর রহমানের নির্দেশে তিনি রাস্তাটির সীলকোট তুলছিলেন। রাশেদুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও টেকনিক্যাল কমিটির নির্দেশনায় সড়কটির রেকটিফিকেশন কাজ শুরু করেন। তিনি জানান, আগে কাজটি করতে প্রচুর টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ওই কর্মকর্তারা বদলী হয়ে গেছে। বর্তমানে রেকটিফিকেশন কাজ করতে তার কাছে কুয়াকাটাস্থ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীসহ তার সহকর্মীরা দশ লাখ টাকা চেয়েছে। না দেয়ায় তাকে কাজে বাধা দেয়া হয়েছে। সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন জানান, রেকটিফিকেশন কাজ করা ঠিকাদারের উদ্দেশ্য নয়। করলে সাইটে মালামাল নেয়া হতো। এভাবে রাস্তা খুড়ে রাখলে কুয়াকাটার সঙ্গে যোগাযোগে সমস্যা হবে। দশ লাখ টাকা চাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কলাপাড়া থানার ওসি মো.আজিজুর রহমান জানান, আপাতত কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। নাশকতা কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

(এমকেআর/পি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test