E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বামনায় ব্যবসায়িদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

২০১৪ মে ০৮ ১৬:৪৫:০৫
বামনায় ব্যবসায়িদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বামনা উপজেলা সদরের সাহেববাড়ি বাজারের সদর রোডের পশ্চিম পাশের ব্যবসায়িদের দোকানের জমি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে বেদখলের চেষ্টা ও দরিদ্র ব্যবসায়িদের দোকান হতে হুমকীর প্রতিবাদে ভূক্তভোগী ব্যবসায়িরা দখলবাজ ও প্রতারক সুভাশ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভূক্তভোগী ব্যবসায়িসহ দুই শতাধিক জনতা শহরের সদর রোডে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে।

পরে দখলবাজ ও প্রতারক সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও দরিদ্র ব্যবসায়িদের ভিটি সুরক্ষাসহ নিরাপত্তার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এত বক্তব্য দেন,বামনা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রীষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত কর্মকার, ব্যবাসায়ি মো. আব্দুর রব, বাবুল চন্দ্র শীল, মীরজাদা সেকান্দার হায়াত প্রমুখ।
শেষে ভূক্তভোগী ব্যবসায়িরা প্রতিকার চেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি দেন।
ভ’ক্তভোগী ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন, বামনা উপজেলার সাহেববাড়ি বাজারের সদর রোডের পশ্চিম পার্শ্বস্থ ২০জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে ১৯৬৫ সন হতে অদ্যবধি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সাহেব বাড়ি বাজারে প্রাণি সম্পদ বিভাগ স্থাপনের সময় ১৯৬৭-৬৮ অর্থ বছরের প্রাণী সম্পদ বিভাগের দায়ের করা ল্যান্ড রিকুইজশন মামলায় জেএল নং-১০ শফিপুর মৌজার এস.এ ৩৯৩ নম্বর খতিয়ানে ১২০১ ও ১২০২ নম্বর দাগ হতে সরকার এক একর ৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে। ওই জমির দুই দাগে বর্তমান সদর রোডের পশ্চিম পাশের সড়কের পাশে জুড়ে ১০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় দরিদ্র ভূমিহীন ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা যুগ যুগ ধরে দোকান ঘর স্থাপন করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন। এর মধ্যে ১২০১ নম্বর দাগে ৬ শতাংশ ও ১২০২ নম্বর দাগে ৪ শতাংশ মোট ১০ শতাংশ জমিতে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের দোকান অবস্থিত। ওই জমি প্রাণি সম্পদ বিভাগের নামে অধিগ্রহণ হলে ব্যবসায়িদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায় সংশিলষ্ট অধিদপ্তর। বাজার উন্নয়নের সার্থে থাকায় প্রধান সড়কের পার্শ্বস্থ ওই ১০ শতাংশ জমি ১৯৭৭-৭৮ অর্থ বছরে তৎকালীন সদর ইউপি চেয়ারম্যান দরিদ্র ব্যবসায়িদের জীবিকার স্বার্থে ওই ১০ শতাংশ জমি ইউনিয়ন পরিষদের নামে বরাদ্দ নিতে একটি ল্যান্ড রিকুইজশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১৯৮৩ সালে সরকার ওই ১০ শতাংশ জমি বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের নামে অধিগ্রহণ করে। পরে তা ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। ওই জমি ইউনিয়ন পরিষদ যুগ যুগ ধরে ব্যবসারত দরিদ্র ব্যবসায়িদের নামে রাজস্ব ট্যাক্সের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে আসছে। দরিদ্র ব্যবসায়িরা এখানে যুগ যুগ ধরে দোকানদারী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উল্লেখিত জমি স্থানীয় একটি ভূমি দস্যু চক্র ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে দখল করে দরিদ্র ব্যবসায়িদের উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। স্থানীয় ভূমি দস্যু সুভাষ চন্দ্র সাহা গং এই চক্রের মূল হোতা । সে তার স্ত্রী জোৎসনা রানী সাহার নামে জালিয়াতি দলিল পত্রের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের রেকর্ডভুক্ত ১০ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করছে। এমনকি দখলবাজ সুভাষ চন্দ্র সাহা ব্যবসায়িদের তার নিকট হতে দলিল নেওয়ার জন্য মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করছে। তা না হলে সে ব্যবসায়িদের দোকান ঘর হতে উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন জানান, সাহেববাড়ি বাজারের দোকান ঘর মালিকদের কাছ থেকে একটি স্মারকলিপি তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বরাবরে পাঠানোর জন্য হাতে পেয়েছেন এবং বিষয়টি বামনা থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
(এমএইচ/এএস/মে ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test