E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের রদবদল

২০১৪ মে ০৮ ২১:৫১:২৩
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের রদবদল

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ ৭ খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৭ খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন  সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

বদল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ৭ খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল আউয়াল ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহাবুবুর রহমানকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবনিযুক্ত পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মন্ডলকে। আরও বদলীকরা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুদল মতিনকে। তাকে বদলী করা হয়েছে টাঙ্গাইলে । ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আকতার হোসেনকে বদলী করা হয়েছ মুন্সিগঞ্জে।

এর আগে জেলা প্রশাসক(ডিসি) মনোজ কান্তি বড়াল ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলামকে বদলি করা হয়। ফিরিয়ে নেওয়া হয় র‌্যাব-১১ এর সিও লে. কর্নেল তারিক সাঈদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে। নতুন করে ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের ডিসি মোঃ আনিছুর রহমান মিয়া। এসপি হিসেবে যোগ দিয়েছেন নরসিংদীর এসপি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।

এর পর দিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জনের এবং ১ মে সকালেএকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতেরচিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইট ভর্তি দুটি করে বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩ মে নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় অভি চালিয়ে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার এবং রক্তমাখা মাইক্রোবাস জব্দ করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার সংশি¬ষ্টতার অভিযোগ ওঠে ভিকটিম প্যানেল মেয়র নজরল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে। তাদের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের মাধ্যমে নজরুল ইসলামসহ বাকিদের হত্যা করার অভিযোগ উঠে।

(এএইচ/পি/মে ০৮,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test