E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূয়া কাবিনে বিয়ে, তিন বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৬:২৬:১০
ভূয়া কাবিনে বিয়ে, তিন বছর পর স্ত্রীকে অস্বীকার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হিজুলী গ্রামের পীর হাসেন আলীর বড় ছেলে রহমতের  সাথে সরাতৈল গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য শেখ ফরিদের মেয়ে ফারজানার তিন বছর পূর্বে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ফারজানা খাতুন এলেঙ্গাতে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করত। আর সেখান থেকে রহমত ফারজানার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন এবং কৌশলে একটি হোটেলে সঙ্গীদের নিয়ে ভূয়া রেজেষ্ট্রি করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা বেশ কিছুদিন গাজীপুরের কোনাবাড়ীর ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত। এমতাবস্থায় মেয়ের বাবা শেখ ফরিদ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে রহমত নিয়মিত যাতায়াত করত। একপর্যায়ে মেয়ের বাবা জানতে পারে রহমত বিবাহিত ও তার একটি কন্যা সন্তান আছে। তারপর সে মেয়ের কাছে তাদের বিয়ের কাবিননামা দেখাতে বললে, ফারজানা তার স্বামীর কাছে কাবিননামার জন্যে চাপ দেয়। কিন্তু রহমত কোনভাবেই কাবিননামা না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখায় এবং বলে আমি তোকে বিয়েই করিনি। ফারজানা গত ৯ ফেব্র“য়ারি সোমবার স্ত্রীর দাবি নিয়ে রহমতের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলে রহমত এবং রহমতের প্রথম স্ত্রী হ্যাপিসহ পরিবারের অন্য লোকজন মিলে ফারজানার বুকে, পেটে, পাজড়ে লাথি ও শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করার জন্যে অমানুষিক নির্যাতন করেন। ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করার সময় খাটের সাথে লেগে ফারজানার বাম চোখের কোণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

এ খবর তার বাবা জানতে পারলে তাকে ওই দিন রাতে ঘটনাস্থল হিজুলী থেকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের বেডে ফারজানা ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন। তার অবস্থা দেখলে যে কারো চোখে পানি চলে আসবে। অপরদিকে ফারজানার বাবাকে মামলা না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রয়োগ করছে রহমতের পরিবারের লোকজন। ফারজানার বাবা শেখ ফরিদের সাথে কথা বললে সে প্রথমে বিষয়টি চেপে যেতে চেষ্টা করেন। পরে সে কেঁদে কেঁদে সাংবাদিকদের পুরো ঘটনা খুলে বলেন। সে বলেন আমি একজন সাবেক পুলিশ সদস্য হওয়া সত্যেও আইনের সহযোগিতা নিতে পারছি না ওদের ভয়ে । আপনাদের মাধ্যমে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে রহমতের বাড়িতে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে সাংবাদিকদের পরিচয় পেয়েই প্রথম স্ত্রী হ্যাপি ব্যাতিত পালিয়ে যায় পরিবারের অন্য লোকজন। হ্যাপির নিকট ঘটনাবলী জানতে চাইলে তিনি জানান, ফারজানা অবৈধ দাবি নিয়ে বাড়িতে উঠায় তাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করা হয় মাত্র। স্থানীয় পৌর কমিশনার ছবদের আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রহমতের বাড়িতে হইহুল্লোর দেখে আমি সেখানে যাই দেখি ডাক্তার এসে ফারজানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে। উভয় পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চালাচ্ছি।

(আরকেপি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test