E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালকিনিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাংবাদিকের মেয়ের মৃত্যু

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৬:৫৫:৫১
কালকিনিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাংবাদিকের মেয়ের মৃত্যু

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে দ্রুতগতির মটরসাইকেলের ধাক্কায় বুধবার সকালে সুমাইয়া ইকবাল ইমা (৭) মারা গেছে।
নিহত ইমা এশিয়ান টিভি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার কালকিনি উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের বড় মেয়ে। সে একই উপজেলার কালকিনি ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।

এছাড়াও এই ঘটনায় জাহিদ (২৩) নামের এক পথচারী আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে ভূরঘাটা-সমিতিরহাট সড়কের প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তার এক পাড়ে দাড়িয়ে থাকলে অপর দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল পিছন দিক দিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে ইমা গুরুতর আহত হলে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পথে মারা যায়।
এই ঘটনায় মোটরসাইকেলসহ চালককে আটক করলেও কিছুক্ষণ পর চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্দু বালা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। মেয়েটি রাস্তার এক পাশে থাকা সত্ত্বেও মোটরসাইকেলের ধাক্কা তাকে প্রাণ দিতে হলো। হয়তো মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলো।
এই ঘটনায় মাদারীপুর ও কালকিনির সাংবাদিকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই সাথে অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালকের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অপরদিকে ঘটনাস্থলের পাশেই নানাবাড়িতে লাশ নিয়ে গেলে সেখানের সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মা আফরিন বেগম মেয়ের জামা কাপড় জড়িয়ে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন।
জ্ঞান ফিরে আসলেই মা আফরিন বেগম বলেছেন, আমার মায়ের (মেয়ে ইমা) মাংস খাওয়া হলো না। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ওর বাবাকে গরুর মাংস আনতে বলেছিলো। ওর বাবাও মেয়ের জন্য গরুর মাংস কিনে আনে। দুপুরে সে গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাবে। ভাত খাওয়া আর হলো না। আমার মা আর কোন দিন ভাত খাবেনা।
আর বাবা ইকবাল হোসেনের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাকে কিছুতেই মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেনা।
সে কেঁদে কেঁদে বলেন, মাদ্রাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। বাড়ির সামনে এসে মেয়েকে রাস্তা পার করে দেই। এসময় চোখের সামনেই একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেল ওকে ধাক্কা দেয়। এতে সে মারা যায়। আমি বাবা হয়েও কিছু করতে পারলাম না। আমার হাসি খুশি মেয়েটা মুর্হূতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। আমি এর বিচার চাই।
(এএ/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১৮,২০১৫)


পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test