মাদারীপুরে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,আহত ১৫

মাদারীপুর প্রতিনিধি :  মাদারীপুরে সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় শনিবার সকালে প্রতিপক্ষ হামলা করে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও কুপিয়ে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে গুরুতর জখম করেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা কমপক্ষে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসময় পুলিশ নারীসহ ৭ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয়, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্বদ্ধ চলে আসছিল।
এই ঘটনার জের ধরে মান্নান লস্কর ও এনামুল চৌধুরীর লোকজন শনিবার ভোর ৫টার দিকে প্রতিপক্ষদের বাড়িঘরে হামলা করে।

হামলা করে সালাম মোল্লা, মোক্তার মোল্লা, সেলিম তালুকদার, সুলতান মোল্লা, রেজাই কাজী, মতি কাজী, মোশারফ কাজী সেরকান খান, মোসলেম কাজীর বসত ঘরসহ প্রায় ২০টি বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
এঘটনায় প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে মোর্শেদ সরদার, এনায়েত সরদার, আরিফ হাওলাদার, সোহরাব বেপারী, জাকির, সাহেব আলি, মোসলেম কাজীর স্ত্রীসহ কমপক্ষে ১৫ জনকে আহত করেছে।
আহতদের মধ্যে মোর্শেদ ও এনায়েতের অবস্থা গুরুতর। তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, গরুসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এছাড়াও তারা প্রায় ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
তবে নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, হামলার সময় পুলিশ নীরব ভুমিকা পালন করেছে। এছাড়াও হামলার সাথে জড়িত নয় এমন মানুষকেও হয়রানি করেছে।
স্থানীয় মোক্তার মোল্লা জানান, শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা ২০টি বসতঘরে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিভিন্ন বসতঘর ভাঙচুর ও কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। শনিবার বিবাদমান দুই গ্রুপ নিয়ে সালিশ মিমাংসার আয়োজন করেছিল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। সালিশের আগেই মান্নান লস্করের লোকজন হামলা করে পরিস্থিতি উত্তাপ্ত করে দিয়েছে।

(এএ/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২১,২০১৫)