E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে দুই মহল্লাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়, আহত ১০

২০১৪ মে ১০ ১৬:১২:০৪
শেরপুরে দুই মহল্লাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়, আহত ১০

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর শহরের থানা মোড়ের সিএনজি স্ট্যান্ডের চাাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে চকপাঠক ও গৃর্দানারায়নপুর বেপারী পাড়া (কুলু পাড়া) এলাকার যুবকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আক্রমণে ওই দুই এলাকার চারটি দোকান ও ৬ টি বসতবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এতে উয়পক্ষে অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছে। ৯ মে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের থানা মোড় এলাকার জামালপুর সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা থেকে ইজারার দোহাই দিয়ে চকপাঠক এলাকার কয়েক যুবক চাঁদা উত্তোলন করে থাকে। এ চাঁদা থেকে গৃর্দানারায়নপুর বেপারী পাড়া এলাকার কয়েক যুবককে প্রতি সপ্তাহে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য কিছুদিন পূর্বে দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। এরপর থেকে চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে থাকা চকপাঠক এলাকার বাদশা নামে এক যুবক বেপারী পাড়ার যুবকদের নিয়মিত সপ্তাহে এক হাজার টাকা করে দিলেও গত সপ্তাহে ওই টাকা দিতে অস্বীকার করে। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জের ধরেই শুক্রবার বিকেলে দু’পক্ষের সুবিধাভোগী যুবকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে এর রেশ দুই এলাকাতেই ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর দু’পক্ষই রাম দা, কিরিচ, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের এলাকায় আক্রমণ করে দোকানপাট ও বাড়ীঘরে ভাংচুর চালায়। তিন দফায় থেমে থেমে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই এলাকার চারটি দোকান ও ৬ টি বসতবাড়ী ভাংচুর করা হয়। এসময় উভয়পক্ষে অন্তত: ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জন শেরপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই মহল্লাবাসীর মাঝে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাড়ি ঘর ভাংচুরের শিকার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুলুপাড়ায় আমাদের বাড়ীতে কয়েকজন ভাড়াটিয়া থাকে। কিন্তু শুক্রবার রাতে আকস্মিকভাবে আমাদের বাড়িঘর রাম দা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এখন ভাড়াটিয়াদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করা হলো কেন। আমাদের কি দোষ। আমরাতো কিছু করিনি। আমরা এর বিচার চাই। বাড়ি ঘর ভাংচুরকারীদের যথাযথ শাস্তি চাই। চকপাঠক এলাকার অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের বাড়িটিও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, ছেলেপেলেদের বাইরের গণ্ডগোলে আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করা হরো কেন। আমরাতো কোন অন্যায় করিনি। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি মাজহারুল করিম বলেন, বর্তমানে শহরের চকপাঠক ও বেপারীপাড়া এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ওই দুই এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার রাতের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
(এইচবি/এএস/মে ১০, ২০১৪)



পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test