E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহে গত দুই মাসে কলেজ ছাত্রসহ খুন ১২ !

২০১৫ মার্চ ০১ ১৩:১০:২৮
ঝিনাইদহে গত দুই মাসে কলেজ ছাত্রসহ খুন ১২ !

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ গত দুই মাসে এক কলেজ ছাত্রসহ ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজন, মহেশপুরে তিনজন, শৈলকুপা উপজেলায় একজন ও ঝিনাইদহ সদর উপজলোয় চারজনের লাশ পাওয়া গেছে।

 

এদিকে একর পর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন ব্যক্তি খুন হওয়ায় ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তারপরও আসামিরা ধরা পড়েনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগ নেতা আনন্দ মোহন ঘোষ নিহত হন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি মহেশপুর উপজেলার লালপুর গ্রামে স্বামীর হাতে গোলেহার বেগম নামে এক নারী নিহত হন। ২৬ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গ্রামে জাকির নামে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে গ্রামবাসী পিটিয়ে হত্যা করে। একই দিন কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া থেকে অজ্ঞাত এক হিন্দিভাষি যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৩ ফেব্রয়ারি ঝিনাইদহ শহরের কৃষ্ণপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রদীপ কুমার নামে এক যুবক নিহত হন। ৪ ফেব্রয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমুন্দিয়া গ্রামে পান চাষী পারেশ দাসকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ১১ ফেব্রয়ারি মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সীমান্তে বিএসএফ গুলি চালিয়ে আমিনুর ও ফয়েজ নামে দুই গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা করে। একই দিন ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা গ্রামে নবগঙ্গা নদী থেকে সাবেক ক্রিকেটার রানা নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার হয়। ২০ ফেব্রয়ারি শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজারে চমক নামে ব্রাহিমপুর গ্রামের যুবককে গলাকেটে হত্যা করে। চমক মাগুরা পলিটেকনিকের ছাত্র ছিলেন। ত্রিভূজ প্রেমের কারণে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত ২৩ ফেব্রয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি গ্রামের মাঠ থেকে গোলাম আজম ওরফে পলাশ (২৮) ও দুলাল হোসেন (২৯) নামে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার চরখাজুরার বিএনপি নেতা মোস্তফা কমিশনারের ছেলে গোলাম আজম ওরফে পলাশ ও অন্যজন একই গ্রামের নসিম বিশ্বাসের ছেলে দুলাল। পলাশ ও দুলাল বেশ কয়েক দিন ধরে থেকে নিখোঁজ থাকার পর তাদের নাম মেলে। এই হত্যাকান্ড নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
(জেআর/পিবি/মার্চ ০১,২০১৫)




পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test