E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘১৯ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ’

২০১৫ মার্চ ০১ ১৪:৫৫:৫৫
‘১৯ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ’

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : একটি হত্যার ঘটনায় ১৯ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। হত্যা মামলার আসামীদের স্বজন হওয়ায় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যেতে না পারায় তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া-আমতলী সীমান্তবর্তী তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর এ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তার অভিভাবকরা।
স্থানীয় ও অভিভাবক ও স্কুল সূত্রে জানা যায়, তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর ১৯ ছাত্র-ছাত্রী গত ৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে হামলা আতংকে স্কুলে যেতে পারছে না। এরমধ্যে নবম শ্রেনীর ছাত্রী ইমার পরিবার আতংকে তাকে টিসি নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এ কথা স্বীকার করে বলেন মনির হত্যার পর থেকে গোটা এলাকায় মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ কারণে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
তারিকাটা বাজারের জসিম উদ্দিনের নেতেৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল সবসময় ৩/৪টি মোটরসাইকেলে করে এ মহরা দিচ্ছে। এ কারনে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে।

খাদিজা বেগম অভিভাবক অভিযোগ করেন, তার সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। মনির হত্যা মামলায় তার এক আত্মীয় আসামী হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে তার মেয়েকে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মেয়ের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকায় স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। এ অভিযোগ একাধিক অভিভাবকের। তাদের অভিযোগ গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ কারণে তাদের একাকী স্কুলে পাঠাতে তারা সাহস পাচ্ছেন না। এ কারণে ষষ্ঠ শ্রেণীর সনিয়া, মো. তুহিন, মোঃ তুহিন-১, সপ্তম শ্রেণির গোলাম রাব্বি, মো. শাওন, মো. রোমান, হাসান মিয়া, সুমাইয়া ও ইয়াসমিন আক্তার,অষ্টম শ্রেণির নাছরিন বেগম, তামান্না বেগম, সাজিয়া আক্তার, নাইমুর রহমান, মোঃ মিরাজ। নবম শ্রেণীর মো. ইয়াছিন, জেসমিন, সুমাইয়া, সুমন এবং দশম শ্রেনির লিমা বেগমের স্কুলে যেতে পারছে না। তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারির পর কিছু ছাত্র-ছাত্রীর স্কুলে উপস্থিতি কমে গেছে। অনেকে টিসি নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস মিয়া জানান, বিশেষ করে হত্যা মামলায় আসামী এমন স্বজনদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসতে পারছে না। অভিভাবকরা লিখিতভাবে তাদের জানালে বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি কাউকে ভয়ভীতি দেখাননি এবং এলাকায় হোন্ডা মহড়া দেয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা তিনি জানেন না এবং থানায় কেউ অভিযোগও করেনি। তবে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকালে কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রাম থেকে কচুপাত্রা বাজারে যাওয়ার পথে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তার ছোটভাই রফিকুল ইসলাম কলাপাড়া থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
(এমআর/পিবি/মার্চ ০১,২০১৫)







পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test