E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

শৈলকুপায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত

২০১৫ মার্চ ০২ ১৭:২২:৩৫
শৈলকুপায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত

ঝিনাইদহ অফিস : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাল্যবিয়ে রোধে ভ্রাম্যমান আদালতে ২জনের ১৫দিনের কারাদণ্ড  ক্ষমতাশীন দলের হাতে লাঞ্চিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম এর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সোমবার দুপুরে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে । তবে এ ঘটনার সময় ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে চরমভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী রওশন ইসলাম। আর এ সংবাদ সংগ্রহের সময় বেধড়ক মারপিটের স্বীকার হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক ওয়ালিউল্লাহ রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহায়তা নেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রেসক্লাব শৈলকুপার নেতৃবৃন্দ।স্থানীয়রা জানিয়েছে, শৈলকুপার আনিপুর গ্রামের জামিরুল ইসলামের মেয়ে দশম শ্রেণী পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাসরিন নাহারের সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয় পাশ্ববর্তী খন্দকবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের সাথে। আজ বিয়ে হতে যাচ্ছে এমন সংবাদ আনিপুরে উপস্থিত হয় ভ্রাম্যমান আদালত। শৈলকুপার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। একই সাথে মেয়ের অভিভাবক দুই চাচা মনিরুল ও আমিরুল ইসলাম কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা ঘেরাও করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিম মোল্লা, তার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবদার হোসেন মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা নাসরিন লিপি, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফরেজা মন্নু, ফিরোজ আহমেদ সহ শতাধিক নেতাকর্মী ইউএনওর সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তার চেয়ার-টেবিল চাপড়িয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বন্ধ করতে বলে। লাঞ্চিত হন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম। এসময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় নবচিত্র পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব সদস্য ওয়ালীউল্লাহ কে ক্ষমতাশীন দলের নেতাকর্মীরা মারপিট করে। তিনি দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশ ঐ সংবাদকর্মীকে তাদের গাড়িতে তুলে নিরাপদ করে। এর আগে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে বাকবিতন্ডা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের উপর হামলা প্রসঙ্গে শৈলকুপার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম মোল্লা জানান, তারা বিষয়টি মিমাংসা করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিক ওয়ালিউল্লা জানায়, তাকে বেধড়ক মারপিট সহ ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে, তিনি নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন পুলিশ কে।এদিকে শৈলকুপার এসিল্যান্ড ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক, নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাল্য বিয়ে বন্ধ ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন কার্যালয়ে চড়াও হয়েছিল কিছু উশৃঙ্খল মানুষ, পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।
(জেআর/পিবি/মার্চ ০২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test