E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিল আটকে থাকায়  চালু হচ্ছে না নড়াইলের সেতু

২০১৫ মার্চ ০৪ ১৬:০৩:৫০
বিল আটকে থাকায়  চালু হচ্ছে না নড়াইলের সেতু

নড়াইল প্রতিনিধি : সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’মাস আগেই । বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ৭৪ দশমিক ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের  সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ না করায় অসমাপ্ত রয়ে গেছে সেতুর বাকি কাজ। এতে সাধারণ মানুষ ও  যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা।

ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঢাকা, খুলনা, বেনাপোলসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্তত ১০ জেলার সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
নতুন সেতু থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে তাই চলাচলের অনুপোযোগী বিকল্প সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহনকে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সোমবার সরেজমিন সেতু পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির এক পাশ আটকে টাঙানো একটি কাপড়ের ব্যানার। এতে লেখা ‘সিতারামপুর ব্রীজের সম্পাদিত কাজের কোন বিল নড়াইল সড়ক বিভাগ কর্তৃক পরিশোধ না করায় ব্রীজটি চালু করা সম্ভব হইতেছে না।’ তবে সেতু দিয়ে কোনো বড় যানবাহন চলাচল না করলেও হালকা যানবাহন চলতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ঢাকা মহাসড়ক। এ সড়কের শত বছরের জরাজীর্ণ সীতারামপুর সেতুটি কয়েকবছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও ওই সেতু ব্যবহারের একপর্যায়ে ২০১০ সালে ভেঙে পড়ে। পরে সেতুটি নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ৭৪ দশমিক ৫ মিটার সেতু নির্মাণে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও মেসার্স সিকদার কন্সট্রাকশন। শর্ত অনুযায়ী ২০১৩ সালের ২২ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রাক্কলিত মূল্যে মোট ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা বৃদ্ধি করে কাজের সময়সীমা ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।কিন্তু ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর কাজ শেষ হয়। কিন্তু দুই পাশে কিছু কাজ বাকি থাকায় সেতুটি সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে উন্মুক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সময়সীমা শেষের আগেই গত ৪ ডিসেম্বর প্রায় সম্পূর্ণ কাজ শেষ করেছি। বর্তমানে সেতু দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। বরাদ্দের মোট ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ৬০-৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন, আমি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কাজ করেছি। টাকা পেলে যে কাজ বাকি আছে তা ৩/৪দিনের মধ্যে শেষ করে সেতুটি খুলে দেওয়া সম্ভব।
নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাশ টাকা বকেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

(টিএআর/পিবি/মার্চ ০৪, ২০১৫)



পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test