E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ায় জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

২০১৫ মার্চ ১০ ১৫:৩৫:৫৬
বগুড়ায় জমজমাট কোচিং বাণিজ্য

বগুড়া প্রতিনিধি : হরতাল ও অবরোধেও থেমে নেই বগুড়ায় কোচিং বানিজ্য। শহরের কোচিং বাণিজ্য এখন জমজমাট। জলেশ্বীতলা কোচিং পাড়ায় শিক্ষার্থীদের ভিড়ে সব সময় লেগে থাকছে। সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। হরতাল ও অবরোধে স্কুল খোলা থাকলেও কিছু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না গেও যথারীতি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে।

বগুড়া শহরের বেশ কয়েটি কেটিং সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে তারা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। সিলেবাস শেষ করে দিতেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা নিজ দায়িত্বে কোচিং ক্লাস করতে নিয়ে আসেন। তবে দূরের শিক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। প্রায় সব কোচিং সেন্টারে এখন অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুল গুলোর শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ নিয়ে দারুন উদ্বিঘœ। অবরোধ বিশেষ করে হরতাল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে পিছিয়ে দিচ্ছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে সকল অভিভাবকরা ঝুঁকি নিয়ে সন্তানদের স্কুলে না পাঠালেও তার নিজ দায়িত্বে কোচিং সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে কয়েকটি স্কুল শুক্রবার ও শনিবার ক্লাস গ্রহণ করেছে। চলতি সপ্তাহে বগুড়া শহরের কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়লেও তুলনায় উপস্থিতির হার কম। আবার কিছু স্কুলে শুধুমাত্র প্রাথমিক সমাপনী ও ৮ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষার্থীদের ক্লাশ গ্রহণ চলছে। অন্যান্য শ্রেণীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন, তারা স্কুল খোলা রেখেছেন। শিক্ষার্থীরা না এলে কিভাবে ক্লাস নিবেন এমন প্রশ্ন রাখেন তারা। তারা আরও প্রশ্ন রাখেন, অভিভাবকরা নিজ দায়িত্বে ভয়ডর উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টারে নিয়ে যেতে পারলে কেন তারা স্কুলে পাঠাতে চান না। কোচিং-এ ঝুঁকি না থাকলে স্কুলে ঝুঁকি থাকবে কেন? স্কুলের সিলেবাস কিভাবে শেষ হবে? বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা শুক্রবার ও শনিবার ক্লাস নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা উপস্থিত না হলে ক্লাস নিতে পারেন না। শিক্ষকদের প্রতিদিনই স্কুলে আসতে হয়। একই ভাবে আর্মড পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ শুক্রবার ও শনিবার ক্লাস নেয়া হয়েছে। পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু জানান, যে সব শিক্ষার্থীদের বাসা শহরে তাদের নিয়মিত ক্লাসে আসা উচিত। এখন ক্লাস না নিলে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়বে।

বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দ জানান, প্রাথমিক, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাশ হচ্ছে। স্কুল খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আসছে কম।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুফিয়া নাজিম (শিক্ষা ও আইসিটি) জানান, শহর পর্যায়ের স্কুলগুলোতে শুক্রবার ও শনিবার ক্লাশ হচ্ছে। এছাড়া ৫ম, ৮ম, ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাশ চালু রয়েছে। তবে শহরের বাহিরে গ্রাম এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি।

(এএসবি/এএস/মার্চ ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test