E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পশ্চিমাঞ্চল রেলে ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন

২০১৫ মার্চ ১১ ১৩:২০:১১
পশ্চিমাঞ্চল রেলে ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বিগত ৫ বছরের বর্তমান সরকার আমলে পশ্চিমাঞ্চল রেলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের পূর্ণবাসন, মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, নতুন নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ব্রডগেজ ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি, যাত্রীবাহী কোচ পূণর্বাসন এবং রিলিফ ট্রেন আমদানি সহ মোট ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের রেল বিভাগে সেবার মান অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে ২৫৩ দশমিক ৮ কি.মি. রেললাইন, ৪৪টি স্টেশন, ৪৫১টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে। এর মধ্যে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালার চর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮ কি.মি. নতুন চলমান রেললাইন নির্মাণ কাজসহ ১৪’শ ৬৬ কোটি টাকায় ১১টি নতুন স্টেশন ও ১’শ ১৭টি ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। খুলনা হতে মংলাপোর্ট পর্যন্ত ৬৫ কি.মি. নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং ৮টি স্টেশন ও ১’শ ৪৫টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৫’শ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ, টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত ৫৫ কি.মি নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং কালুখালি ভাটিয়াপাড়া সেকশনের ৮২ কি.মি পুর্নবাসন কাজ মিলে মোট ১’শ ৩৭ কি.মি মধ্যে ১৪টি স্টেশন ও ১২০টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। যার ব্যয় হয়েছে ১৮’শ কোটি টাকা। আমনুড়া-রহনপুর সেকসনের ৮৫ কি.মি রেললাইনের পুণর্বাসন কাজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি স্টেশন ও ৩২টি ব্রীজও নির্মাণ করা হয়েছে। যার ব্যয় হয়েছে ১’শ ৫২ কোটি টাকা। পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা সেকশনের ৫৫ কি.মি রেললাইন, ১১টি স্টেশন ও ৬৯টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২’শ ৯২ কোটি টাকা। পার্বতীপুর-কাঞ্চন-পঞ্চগড় ও কাঞ্চন-বিড়ল সেকশনের ১’শ ৬৩ কি.মি মিটার গেজ রেললাইনে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং বিড়ল বর্ডার সেকশনকে মিটার গেজ হতে ব্রড গেজে রূপান্তর করা হয়েছে। এই সেকশনে ১৪টি স্টেশন ও ১’শ ৩৯টি ব্রীজও নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কাজে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। সৈয়দপুর থেকে চিলাহাটি সেকশনের ৫২ কি.মি রেললাইন পুণর্বাসন কাজ, ৯টি স্টেশন ও ১৪টি ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১’শ ৮৫ কোটি টাকা। লালমনিরহাট-বুড়িমারী সেকশনে ৯৫ কি.মি রেললাইন পূণর্বাসন কাজ, ৭টি স্টেশন ও ১৪টি ব্রীজ নিমার্ণ কাজে মোট ব্যয় হয়েছে ১’শ ৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা। রেলের উন্নয়নে আওয়ামীলীগ সরকারের আন্তরিকতা থাকার কারণে এসব কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের মেক্যানিকাল বিভাগেও ২৪’শ ৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে অনেকখানি উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ৮’শ ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ২৬টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে। ৮’শ ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭০টি ব্রডগেজ কোচ আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে ৮৫টি কোচ পাওয়া যাবে। বাঁকি কোচগুলো পাওয়া যাবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। ৬’শ ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪০টি যাত্রীবাহী কোচ পুণর্বাসন করা হয়েছে এবং ১’শ ১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি মিটার গেজ ও একটি ব্রডগেজ (উদ্ধারকারী) রিলিফ ট্রেন আমদানী করা হয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে এবং যাত্রী সেবার মান শতভাগে উন্নীত করতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের বিভিন্ন বিভাগে বন্ধ হওয়া প্রায় ৭৬টি স্টেশন চালু করা জরুরী হয়ে পড়েছে। একইভাবে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ এবং বিভিন্ন সিগন্যাল লাইনসহ ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। সৈয়দপুর কারখানাকে সচল করতে হবে । এতে করে শতভাগ যন্ত্রপাতি ও কোচ নির্মাণ এবং পুনর্বাসন কাজ সহজেই করা সম্ভব হয়। একই সাথে রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে এসব উন্নয়ন কাজের সাথে কোনভাবেই দূর্নীতি পরায়ন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পৃক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর দৃষ্টি রাখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছেন বলে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জনিয়েছেন।


(এসকে/পিবি/মার্চ ১১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test