E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

২০১৫ মার্চ ১৩ ১৭:১৪:৪৫
রায়পুরে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও স্থানীয় চর আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যা (বিএসসি) সহ উভয় পক্ষের অন্ত্যত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারের উলফা বাহিনী ও চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ৯ জনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা গুরুতর। অন্য আহতরা হলেন, মনু মিয়া, নাদিম হোসেন, শকুর মিয়া, আ: সাত্তার, রাসেল, জিয়াউর রহমান, মো. জাফর, ও সুব্রত।

এদিকে বিকালে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যাকে দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন ও থানার ওসি একেএম মনজুরুল হক আখন্দ।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল হওলাদারের নেতৃত্বাধীন উলফা বাহিনীর সাথে জেলা আ’লীগের সাবেক সহসভাপতি ও চর আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যা এবং তাঁর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। সকালে চেয়াম্যান শহীদ উল্যা ইউপি কার্যালয়ে সামনে থেকে বাড়ী যাওয়ার সময় উলফা বাহিনীর অন্যতম সদস্য মনু মিয়া তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এর জেরে চেয়ারম্যান সমর্থকরা দলবদ্ধ হয়ে উলফা গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। ফলে দু’ই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত্য ১৫ জন আহত হলে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ চিকিৎসা দেওয়অ হয়। বাকিরা স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

আবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্যা ছেলে মঞ্জুর হোসেন সুমন বলেন, গত দুই বছর ধরে দুলাল হওলাদারের নেতৃত্বে হায়দরগঞ্জ বাজারে উলফা বাহিনী ঘটন করে এলাকার অসামাজিক কাজ করে আসছে। এসব ঘটনার তার বাবা বাধা ও প্রতিবাদ করলে তারা পরিকল্পিত ভাবে চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম করে।

এঘটনায় যোগাযোগ করা হলে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল হওলাদার বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে মনু মিয়ার জমি সংক্রান্ত সালিশ রয়েছে। এ সালিশকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন বাজারে এসে নাদিমের ঘব ও শুকুরের দোকান ভাংচুর করেন। এখানে উলফা গ্রুপ ও বাহিন বলতে কিছুই নেই।

হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. মইন উদ্দিন জানান, আ’লীগ নেতা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং অরেক আ’লীগ নেতা দুলাল গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি।

(এমআরএস/এএস/মার্চ ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test