E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এপ্রোচসড়ক নির্মাণ

২০১৪ মে ১১ ১৭:৫৭:১৩
রায়পুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এপ্রোচসড়ক নির্মাণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ঢাকা-খুলনা হাইওয়ে সড়কের লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সিকদার রাস্তানামক স্থানে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে একটি ব্রিজের পাশের এপ্রোচসড়ক নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও নোয়াখালীর ঠিকাদার মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে ঝুঁকি সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার পরিবহন চালকরা আতংকিত রয়েছেন।

এদিকে এ সুযোগে স্থানীয় একটি চক্র বন বিভাগের নামে অর্ধলক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ১০টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। এঘটনায় সড়ক ও জনপথ এবং বন বিভাগকে জানালেও কর্মকর্তারা নিরব রয়েছেন।
জানা যায়, প্রায় ২ মাস আগে ঢাকার সড়ক ও জনপথ বিভাগের টেন্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যায় এক প্যাকেজে রায়পুরের একটি ও রাজগঞ্জ উপজেলার ৩টিসহ মোট ৪টি ব্রিজের কাজ পান ব্রিজের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও নোয়াখালীর ঠিকাদার মো. কামাল হোসেন। গত ১৫ এপ্রিল ঠিকাদার রায়পুরের এ ব্রিজটির কাজ শুরু করেন। ভাল ইটসহ সামগ্রী দিয়ে সড়কটি করার জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ জানান এলাকাবাসী ও পরিবহন চালকরা। এতে ওই ঠিকাদার নিন্মমানের ইটসহ অন্য সামগ্রী দিয়ে এপ্রোচসড়কের কাজ করছেন। এদিকে ব্রিজ নির্মানের সুবিধার্থে তার পাশে সড়কের প্রায় ১০টি গাছ কেটে নেওয়ার জন্য বন বিভাগকে চিঠি পাঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলি। কিন্তু রাতের আধারে কে বা কারা ওই গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে এপ্রোচসড়ক নির্মান ও রাতের আধারে গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ এবং বন বিভাগকে জানালেও কর্মকর্তারা নিরব রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার মো. কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ব্রিজটি নির্মাণে বা পাশের এপ্রোচসড়কটিতে কোন নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। এবং গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য বন বিভাগকে আগেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
রায়পুর উপজেলার বন ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন মন্সী মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি নিজ বাড়ি ফেনিতে আছেন। আগামী সোমবার অফিসে আসলে এ ব্যাপারে নেওয়া হবে বলে জানান। সোমবার পর্যন্ত রির্পোটটি না লেখার অনুরোধ জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, এপ্রোচসড়ক নির্মাণে তার জানামত কোন নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন। আগামী জুন মাসের মধ্যে এই কাজঠি শেষে করা হবে। গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছিলাম। এখন কে বা কারা নিয়ে গেছে তা আমাদের জানান বিষয় নয়।
(এমআরএস/এএস/মে ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test