E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরনদীতে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ফাঁকা গুলি, আহত ১৫

২০১৫ মার্চ ১৭ ১৬:৩৭:২৫
গৌরনদীতে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ফাঁকা গুলি, আহত ১৫

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে জেলার গৌরনদী পৌর মেয়রের নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটিয়ে উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, ডিগ্রি কলেজ, মসজিদ, মর্ডান ক্লাব, তিনটি বাস কাউন্টারসহ দশটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট করা হয়েছে। হামলায় থানার ওসি, দু’পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় ১২ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, মাহিলাড়া ভায়া সরিকল এলাকার একটি সড়কের ঠিকাদারী কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে পৌর মেয়রের বড় ভাই আকবর হোসেন ফারুকের সাথে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর বাকবিতন্ডা হয়। মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈতক গুহ পিকলু জানান, এ ঘটনার জেরধরে ওইদিন দুপুর বারোটার দিকে পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে প্রায় দু’শতাধিক ক্যাডাররা সশস্ত্র অবস্থায় মাহিলাড়া বাজারে একটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজ, মসজিদ, মর্ডান ক্লাবসহ দশটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘন্টাব্যাপী হামলায় স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জলিল রাঢ়ী, নাসির উদ্দিন, দিলীপ মন্ডলসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে। চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালিয়ে গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ডে তার (পিকলুর) সমর্থকদের তিনটি বাস কাউন্টারে হামলা চালিয়েও ব্যাপক ভাংচুর করেছে।

খবর পেয়ে দুপুর দুইটার দিকে জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সরকারি গৌরনদী কলেজের বিজিবির স্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসলে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। গৌরনদী থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে তিনিসহ পুলিশ কনস্টবল মুজিবুল হক ও আনসারুল ইসলাম রক্তাক্ত জখম হয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশ দু’রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পৌর মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হারিছুর রহমান জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই কাজের জন্য তার বড় ভাই ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আকবর হোসেন ফারুককে শারিরিক ভাবে লাঞ্ছিত করায় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

(টিবি/এএস/মার্চ ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test