ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করলো আওয়ামীলীগ নেতা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন খন্দকার (২১) কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাদল।

বুধবার মুলাডুলি ইউনিয়নের সাধুর পুকুর কালী মন্দির এলাকায় স্থানীয় চৈত্র মেলার মাঠে অসংখ্য মানুষের সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

বারণী স্নান (গঙ্গাস্নান) উপলক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত মুলাডুলি স্টেশনের নিকটস্থ সন্ধ্যা পুকুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা-অর্চনার পাশাপাশি মেলা বসে। এই মেলায় জুয়ার আসরের ভাগ-বাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খন্দকার মিলনের ভাতিজা ও বাবুল খন্দকারের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বাধন খন্দকার মেলা পরিচালনা করছিল। চৈত্র মেলায় চাঁদা ও জুয়া খেলার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মেলার আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠু তার সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু লোকজন নিয়ে মেলার মাঠে দখল নিতে আসে। এসময় উভয়গ্রুপের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় গোলাগুলিও শুরু হয়।

অসংখ্য মানুষের সামনে প্রকাশ্যে মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাদল ছাত্রলীগ নেতা বাঁধনকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করে এবং ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। গুলির শব্দে মেলায় উপস্থিত মানুষেরা দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। বাদল ছাত্রলীগ নেতা বাঁধনকে গুলি করার পর ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। পরে মিলনের লোকজন লাশ নিয়ে মিছিল করে কামাল হোসেন মিঠুর প্রাইভেট কার এবং তার গ্রুপের আরো ৫টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শাহানুর আলম পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে । নিতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার পাবনা মর্গে পাঠনো হয়েছে।

(এসকে/এসসি/মার্চ১৯,২০১৫)