E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় নির্বাচন স্থগিত করায় মিষ্টি বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল

২০১৫ মার্চ ২৪ ১৬:৩৭:২৮
আগৈলঝাড়ায় নির্বাচন স্থগিত করায় মিষ্টি বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল

বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনের দিন একটি স্কুল এ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন স্থগিত আদেশকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সরকারি এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ওই কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে। এঘটনায় থানায় পৃথক সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ভোট গ্রহনের নির্ধারিত দিনে স্থগিত করা হয়েছে পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির গভর্নিং বডির নিবার্চন। আদালতে চলমান মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা ২৩ মার্চ ওই নির্বাচন স্থগিত করেছেন বলে তার স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানা গেছে। নির্বাচন স্থগিতাদেশের পত্র দিতে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন সমাজসেবা অফিস সহকারি আবুল হোসেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ আবুলকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আকস্মিক নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল করেছে প্রার্থীর ভোটর সমর্থকসহ এলাকার জনগন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং অফিসার সুশান্ত বালাকে প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন মোবাইলে হত্যার হমকির ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন তিনি । পাতানো নির্বাচন স্থগিতাদেশের খবরে আনন্দে পয়সারহাট ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ জনগণ।

জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরিশাল সহকারী জজ আদালতে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, বিদ্যালয় পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, প্রিসাইডিং অফিসারসহ ১৯ জনকে বিবাদী করে ৪ মার্চ মামলা দায়ের করেন পয়সা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন ও অপর ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী রুমা রহমান। (এমপি নং-১১/২০১৫)।
চলমান ওই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সকল কার্যক্রম আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তিনি। নির্বাচন স্থগিতাদেশ নিয়ে সমাজসেবা অফিস সহকারী আবুল হোসেন প্রতিষ্ঠানে পৌছলে উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম সম্পাদক ও নির্বাচনী প্রার্থী ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে তার লোকজন আবুলকে লাঞ্ছিত করে আটক রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে আবুলকে উদ্ধার করে। সরকারী কাজে বাধা প্রদান করে সরকারী কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সমাজসেবা অফিস সহকারী আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় অপর একটি ডায়েরী করেছেন।

পয়সা বন্দর ব্যবসায়ী ও বাগধা স্কুল এ্যান্ড কলেজের সভাপতি আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, নির্বাচনী কালো নাটকের সকল কারসাজি অধ্যক্ষ মিজানের। মিজান নির্বাচন চায়নি, তার কৌশল ছিল এডহক কমিটি করার। তাই মামলার পরেও নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেন তিনি। মিটিং ডেকে প্রার্থীদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করে তা মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপকৌশলের সাথে নিজেক জড়িত করে ফেলেছেন তিন। প্রিসাইডিং অফিসার সঠিক দ্বায়িত্ব পালন করায় তার বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পেয়ে নির্বাচনী সকল ফাইল কর্মকর্তা তার আয়ত্বে নিয়ে নেন। এত কিছুর পরেও শেষ সময়ে এসে প্রিসাইডিং অফিসারকে দিয়ে নির্বাচন বন্ধ করিয়ে দিয়ে নির্বাচনের দিন প্রতিষ্ঠানেই আসেননি অধ্যক্ষ মিজান। এব্যাপারে অধ্যক্ষ মিজানের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
(টিবি/পিবি/মার্চ ২৪,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test