E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাগুরায় ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

২০১৫ মার্চ ২৯ ১৪:০৫:০৫
মাগুরায় ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা মহম্মদপুরে আজাদ হত্যামামলার এজাহারভুক্ত আসামী রকিবুল ইসলাম  (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময়  আটকের পর টাকার বিনিময়ে পুলিশ সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে মহম্মদপুর থানার ওসি আতিয়ার রহমানের অপসারণের দাবিতে মানব বন্ধ করেছে বাদীপক্ষ ও এলাকাবাসী।  রবিবার দুপুর পৌনে বারোটারদিকে  মহম্মদপুর সদরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উৎকোচ নিয়ে পুলিশ হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আজাদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন ও এলাবাসী রবিবার দুপুরে মহম্মমদপুর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানবন্ধন করেন। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয় শতাধিক নারী-পুরুষ ওসি আতিয়ার রহমানের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ব্যানার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ড প্রর্দশন করেন।
জানা গেছে, শনিবার বেলা ১ টার দিকে এসএসসির শারিরীক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা শেষে সদরের বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্র থেকে শত শত পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সামনে তাকে আটক করে মহম্মদপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দিনভর দেনদরার করে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় এক নেতার মধ্যস্থতায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রকিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় ছবি তুলতে গেলে আসামীর সাথে থাকা মহম্মদপুর থানার এএস আই আশরাফ শিকদার ও এ এস আই নাসির স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বাধা দেন।
রকিব উপজেলার কুমরুল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে এবারের এসসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সে উপজেলার ভাটরা গ্রামের আসাদ জমাদ্দারের ছেলে।
উল্লেখ্য, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউপির ভাটরা গ্রামে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ শনিবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আজাদ শেখ নামের (৩৫) এক ব্যাক্তি নিহত হয় । এ ঘটনায় হত্যা মামলায় দ্বায়েরকৃত এজাহারভুক্ত আসামি রকিব। পুলিশের খাতায় সে পলাতক।
আসামির পিতা আসাদ জমাদ্দার জানান, নেতা জগন্নাথ সাহার মাধ্যমে পুলিশের এএস আই আশরাফ ও এএস আই নাসিরউদ্দিন কে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে মুক্ত করেন। তবে জগন্নাথ সাহা কিছু জানেন না বলে সংবাদকর্মীদের জানান।
মহম্মদপুর সদরের বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার রফিকুল ইসলাম ও সহকারি কেন্দ্র সচিব সমীর কুমার দাশ আটকের বিষয়টি জানেন বলে জানান।
মহম্মদপুর থানার এএস আই আশরাফ শিকদার ও এ এস আই নাসির জানান, ছেলেটির সামনে ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে । তাই মানবিক কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কুমরুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন মৃধা বলেন, রাকিব আমার স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তাকে আটকের বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করলেও ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
মহম্মদপুর থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। কি কারনে মানব বন্ধন হলো জানতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলেই ফোন কেটে দেন।

(ডিসি/পিবি/মার্চ ২৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test