প্রাননাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ সংকট

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর ও রাণীনগর উপজেলার সীমান্তঘেঁষা আদমদীঘি উপজেলার প্রাননাথপুর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষ নেই। শ্রেণি কক্ষের সংকটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে চলছে পাঠদান। পরিত্যক্ত ভবন যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও সচেতন মহল। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বার বার অবগত করেও কোন কাজ হয়নি বলে জানান, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৯৭৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের টিনসেডের ছোট ছোট ৮টি কক্ষ তৈরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত পার হয়ে বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে ২টি কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন তৈরি করা হলেও সংস্কারের অভাবে বর্তমানে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই জীর্ণ ভবনে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩শ’ শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করছে। মোট ১০টি কক্ষের মধ্য দুটি অফিস কক্ষ ও অবশিষ্ট ছোট ছোট ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে গাদাগাদি করে চলছে পাঠদান। দীর্ঘদিনের মরিচা ধরা টিনের ছাউনি যে কোন সময়ে ঝড়ে উড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় বর্ষা মৌসুমে টিনের ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের গা ও বই-পুস্তক ভিজে একাকার হয়ে যায়। স্কুলটি নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনও এমপিও ভুক্ত হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। আধুনিক সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত অজোপাড়া গ্রামের এই বিদ্যালয়টি। অফিস কক্ষে আসবাবপত্রের অভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিও নষ্টের পথে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের এহেন অবস্থা সম্পর্কে একাধিকবার ওপড় মহলকে লিখিত ভাবে জানিয়েও আজ পর্যন্ত কোণ ফল পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়টি উপজেলার শেষ সীমানায় অবস্থিত হওয়ায় আমরা সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় ভাবে আমরা সাধ্যমত উন্নয়ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি । তবে সরকারি ভাবে অনুদান পাওয়া না গেলে আধুনিক মান সম্পন্ন বিদ্যালয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে আদমদিঘী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মোঃ মনোয়ারুল হাসান জানান, এই বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে।

(বিএম/পিবি/এপ্রিল ০২,২০১৫)