E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরণখোলায় বনদস্যু প্রধান নিহত, গুলিবিদ্ধ ১

২০১৫ এপ্রিল ০৬ ১৬:৩৮:৩৯
শরণখোলায় বনদস্যু প্রধান নিহত, গুলিবিদ্ধ ১

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু বেল্লাল বাহিনীর প্রধান বেল্লাল হোসেন (৩৮) নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই বাহিনীর সদস্য ফরহাদ মুন্সী (৩৫)। ঘটনাস্থল থেকে ১টি নাইন স্যুটার, ১টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক ও ৫০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ফরহাদকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন সোনাতলা পনিরঘাট গ্রামের হাবিব হাওলাদারের বাড়ির বাগানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বাহিনী প্রধান বেল্লাল নিহত হওয়ার খবরে সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালীদের মধ্যে সস্তি ফিরে এসেছে। শত শত পেশাজীবী শরণখোলা থানায় এসে বেল্লালের লাশ দেখে ধীক্কার জানিয়েছেন। নিহত বেল্লাল মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সরালিয়া গ্রামের খোকন ফরাজীর ছেলে এবং গুলিবিদ্ধ ফরহাদ মুন্সী একই উপজেলার বারইখালী গ্রামের মৃত মকবুল মুন্সীর ছেলে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারেন বাহিনী প্রধান বেল্লাল তার ৪-৫ জন সহযোগী নিয়ে সোনাতলা গ্রামের হাবিব হাওলাদারের বাড়ির বাগানের একটি পরিত্যাক্ত টিনের ঘরে অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে সোমবার রাতে ওসি নিজেই তার পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বেল্লাল বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় আধাঘন্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে পুলিশের গুলির মুখে টিকতে না পেরে দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। বন্দুকযুদ্ধ শেষ হলে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ বেল্লালের মৃতদেহ এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফরহাদকে উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বনদস্যু ফরহাদ জানান, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় গত দুদিন আগে পানিরঘাট গ্রামের কাছাকাছি সুন্দরবনের মধ্যে ট্রলারটি মেরামতের জন্য নিয়ে আসেন। দিনের বেলা ট্রলার মেরামতের পর রাতে তারা গোপনে হাবিব হাওলাদারের বাগানের পরিত্যাক্ত টিনের ঘরে অস্থান করতেন। বন্দুকযুদ্ধের সময় বাহিনী প্রধান বেল্লালসহ বাহিনীর পাঁচ সদস্য অবস্থান করছিলেন। ফরহাদ আরো জানান, বেল্লাল বাহিনীতে মোট ১০ জন সদস্য রয়েছে। অস্ত্রও ছিল ১০টি।

ওসি জানান, বন্দুকযুদ্ধে বাহিনীর আরো কোনো সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে বনে পালিয়ে যেতে পারে। বাহিনীর অন্য সদস্য ও অস্ত্র উদ্ধারে সুন্দরবনে অভিযান চলছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(একে/পিবি/ এপ্রিল ০৬,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test