E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ায় ঝড়ে  নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯

২০১৫ এপ্রিল ০৬ ২১:০৮:৫৪
বগুড়ায় ঝড়ে  নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা এখনো নিজঘরে ফিরতে পারেনি। ঝড়ে উড়ে যাওয়া টিনের চালা, বাড়ির দেয়াল, আসবাবপত্র নিয়ে এখনো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। দুইদিন পেরিয়ে গেলেও দূর্ভোগে রয়েছে লাখ লাখ পরিবার। বগুড়া জেলা প্রশাসন বলছে ঝড়ে নিহতের সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে।

আহত হয়েছেন শতাধিক। প্রায় ৯২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতার জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে তিল লাখ টাকা অর্থ বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় হঠাৎ করেই কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের তান্ডবে জেলায় গাছপালা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তছনছ করে দিয়ে যায়। প্রায় ১২ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে জেলায় এখনো বিদ্যুৎ এর অবস্থা পুরোদমে স্বাভাবিক হয়নি। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর গত রোববার সন্ধ্যায় ২ থেকে ৩টি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

সোমবার সকালে বগুড়া জেলা শহরের সাতমাথা, থানা এলাকা, বাদুড়তলা, স্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলেও লো ভোল্টেজ চলছে। জেলার ১০টি উপজেলায় ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বগুড়া সদর, গাবতলী, কাহালু, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখনো খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। কিছু পরিবার তাদের উড়ে যাওয়া আসবাবপত্র, ঘরের চাল মেরামত শুরু করেছে। সড়ক মহাসড়কে এখনো গাছের গুড়ি পড়ে রয়েছে। ঝড়ের পর বগুড়া ফয়ার সার্ভিস, পুলিশ বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে গাছ অপসারণে কাজ শুরু করে। জেলায় ১৭ জনের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বগুড়া সদরের গোকুল এলাকার আকালু (৩০) পরিচয় পাওয়া গেছে। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সুত্রে জানানো হয়েছে শহরজুড়ে সংযোগ তারের উপর গাছপালা, টিনের চাল, বিলবোর্ড ভেঙ্গে পড়ে তার ছিঁড়ে যায়। কোথাও কোথাও গাছের ডাল, বড়বড় গাছ তারে ঝুলে আছে। সেসব অপসারন করে কিছুকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসন সুত্রে জানানো হয়েছে, ঝড়ে বগুড়া সদরে ৭জন, শাজাহানপুর ৩, সারিয়াকান্দিতে ৩ জন, ধুনটে ১জন, কাহালুতে ২, গাবতলীতে ১, সোনাতলায় ১, নন্দীগ্রামে ১ জন নিহত হয়েছে। ৯১ হাজার ৮৯৪টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। বগুড়া জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে।

(এএসবি/এসসি/এপ্রিল০৬,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test