E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আট বছরে মৈত্রী ট্রেন

২০১৫ এপ্রিল ১৪ ১৭:৪৭:৫৪
আট বছরে মৈত্রী ট্রেন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : সাত পেরিয়ে আট বছরে পা রাখলো বাংলাদেশ-ভারত (ঢাকা-কলকাতা) চলাচলকারী মৈত্রী ট্রেন। `দুই বাংলার বুকে মৈত্রী থাকুক সুখে` স্লোগানকে ধারণ করে সাত বছর আগে (বাংলা ১৪১৫ সালের পহেলা বৈশাখ) এই দিনে যাত্রা শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস।

এই সাত বছরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মৈত্রী ট্রেন এখন দু`দেশেরই লাভজনক বাহন। শুধু লাভজনকই নয়, এ ট্রেন বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের কাছে এখন বেশ জনপ্রিয় বাহনও হয়ে উঠেছে।

ট্রেনটি চালুর পর থেকে সপ্তাহে দু`দিন অর্থাৎ বুধ ও শুক্রবার ঢাকা থেকে কলকাতায় যায়। আর শনি ও মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঢাকায় আসে। প্রথমদিকে যাত্রী শূন্যতায় হোঁচট খেলেও ধীরে ধীরে সকল সমস্যা কাটিয়ে মৈত্রী ট্রেন এখন চাহিদার তুঙ্গে। এর ফলে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আরো এক জোড়া নতুন ট্রেন যোগ হয়েছে মৈত্রীর বহরে।

বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন করে অর্থাৎ শুক্র, সোম ও বুধবার ঢাকা থেকে কলকাতায় যায় মৈত্রী ট্রেন। আর শনি, রোব ও মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঢাকায় আসে। এর প্রতিটি যাত্রায় গড়ে ৩৫০ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করে থাকেন। গত সাত বছরে ট্রেনটিতে মোট দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৩ জন যাত্রী ভ্রমণ করেছেন।

সাতটি বগি সম্বলিত মৈত্রী এক্সপ্রেসের ভারতীয় ট্রেনে মোট আসন ৪৫৯টি। এর মধ্যে এসি সিট ২৭, এসি চেয়ার ১৪৬ এবং শোভন ২৮৬টি। আর বাংলাদেশি ট্রেনে মোট আসন ৪১৮টি। এর মধ্যে এসি সিট ৩৬, এসি চেয়ার ৮০ এবং শোভন রয়েছে ৩০২টি।

বর্তমানে এই ট্রেনে টিকেটের মূল্য প্রতিটি এসি সিট (শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট যোগ করে) ২০ ডলার, এসি চেয়ার প্রতিটি ১২ ডলার। আর শোভন আট ডলার (কোনো ভ্যাট নেই)।

মৈত্রী ট্রেন সকাল আটটা ১০ মিনিটে (বিএসটি) ঢাকা ছাড়ে। এটি কলকাতায় পৌঁছায় রাত ৮টা ১০ মিনিটে (আইএসটি)। অন্যদিকে কলকাতা ছাড়ে সাতটা ১০ মিনিটে (আইএসটি) এবং ঢাকা পৌঁছায় ৮টা ০৫ মিনিটে (বিএসটি)। ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছেড়ে কলকাতার চিতপুর স্টেশনে থামে মৈত্রী এক্সপ্রেস।

ঢাকা ছেড়ে যাত্রাকালে মৈত্রী ট্রেন ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে ১৫ মিনিট ওয়াটারিংয়ের জন্য যাত্রা বিরতি করে। এরপর কাস্টমস-ইমিগ্রেশনের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত স্টেশন দর্শনায় এক ঘণ্টা এবং ভারতের সীমান্ত স্টেশন গেঁদেয় দেড় ঘণ্টা যাত্রা বিরতি করে।

এ ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের অভিমত, কাস্টম-ইমিগ্রেশনের কাজ ট্রেনের মধ্যে সম্পন্ন করে ট্রেনটির যাত্রা বিরতিতে আরো সময় কমিয়ে আনতে পারলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে যাবে।

এছাড়াও ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আরো স্টপেজ বাড়িয়ে বাংলাদেশের দর্শনা ও ভারতের গেঁদে রেলস্টেশনে ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধানে দু`দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে মৈত্রী এক্সপেস।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মীর মো. লিয়াকত আলী জাগো নিউজকে জানান, মৈত্রী ট্রেন বাংলাদেশ রেলওয়ের গর্ব। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা এ ট্রেনে ভ্রমণ করেন। এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test