মাগুরায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির নির্মম অত্যচার আর সহ্য করতে না পেরে গুল খেয়ে খাদিজা (২৫) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে গুল খাওয়ার পরে মহম্মদপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে  বৃহস্পতিবার সকালে সে মারা যায়।

নিহতের পিতা উপজেলার তেলিপুকুর গ্রামের সৈয়দ মিন্টু মিয়া জানান, ৪ বছর আগে উপজেলার রায়পুর গ্রামের হাবিবার মিয়ার ছেলে ঢাকায় কর্মরত আনসার ব্যাটিলিয়ান সদস্য হাসান মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা খাদিজার উপর নির্মম নির্যাতন চালাতো। বিয়ের পর থেকে কয়েক দফায় যৌতুকের টাকা দিলেও এক মাস আগে এক লক্ষ টাকা দাবি করে তার তার মেয়েকে অত্যাচার করে। এবারও সে জমি বিক্রি করে জামাইকে আবারো একলক্ষ টাকা দেন। এক সপ্তাহ আগে খাদিজার শাশুড়ি আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করে। বিষয়টি খাদিজা তার বাবাকে জানালে আর যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। গত ১৫ এপ্রিল বুধবার দুপুর বারোটার দিকে শাশুড়ি খাদিজাকে তার বাবার বাড়ির থেকে টাকা আনতে যেতে বলে। এসময় খাদিজা রাজি না হলে তার উপর শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতন করে। শশুর-শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে ঘরে থাকা কয়েক কৌটা গুল পানিতে গুলিয়ে পান করে খাদিজা। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহষ্পতিবার সকালে খাদিজা মারা যায়। আশা নামে ৯ মাস বয়সি তার একটি কন্যা আছে।

এ ব্যপারে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান জানান ,ঘটনাস্থলে আমাদের একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে শালিশ মিমাংসার বিষয়ে তিনি কোন কিছুই জানেন না বলে জানান।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মহম্মদপুর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা মীমাংসার জন্য দুপক্ষ বসেছে বলে আমরা শুনেছি। মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(ডিসি/পিবি/ এপ্রিল ১৬,২০১৫)