E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলাপাড়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ২

২০১৫ এপ্রিল ১৬ ১৮:১৮:৫৫
কলাপাড়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ২

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এক শ্রমিকলীগ নেতাসহ দুই বখাটেকে আটকের জের ধরে তাদের ছাড়িয়ে নিতে থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাত আটটায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া সদর থানার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। বৈশাখী মেলা থেকে কয়েক’শ গজ দূরে এ ঘটনায় মেলায় আগত দর্শনার্থীসহ সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহীন ও মাঈনুদ্দিন নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বয়াতীকে আটক করলেও রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানাযায়, নববর্ষ উপলক্ষে কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাসষ্টান্ড মাঠে নাচনাপাড়া চেীরাস্তা ও নাচনাপাড়া গ্রামের মধ্যে বুধবার বিকালে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালীন রেফারীর একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের খেলোয়ার ও সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেল বয়াতী শ্রমিকলীগ নেতা আলমগীরকে মারধর করে। এর জের ধরে শ্রমিকলীগ নেতা আজিজুল হক বুদাইকে মারধর করে প্রতিপক্ষরা। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়। এ ঘটনায় খেলার মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনান্থল থেকে মাঈনুদ্দিন ও শাহীন নামে দুইজনকে আটক করে। কিন্তু তাদের থানায় নিয়ে আসার পথে তারেক বয়াতীর নেতৃত্বে ২৫/৩০ যুবক ওই দু’যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ আবার অভিযান চালিয়ে তারেকসহ ওই তিনজনকে পুনরায় আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত তারেকের সমর্থকরা তাদের মুক্তির দাবিতে কলাপাড়া থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।

পৌর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বয়াতি বলেন, ‘আমি খেলার মাঠে গন্ডগোলের খবর শুনে নিজে গিয়ে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা করি। আর আমি ওগো ছিনাইয়া রাহি নাই। মীমাংসার কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে অনুরোধ করে রেখে দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাকে আটক করে।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, তিনি ঘটনার সময় থানায় ছিলেন না। খবর শুনে থানায় এসেছেন। ঘটনার সাথে তারেকের সম্পৃক্ততা না থাকায় রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও মাঈনুদ্দিন ও শাহীনকে ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে থানার সামনে বিক্ষোভ করলেও কোন ধরনের ইটপাটকেল নিক্ষেপ কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

(এমকেআর/এএস/এপ্রিল ১৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test