E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝালকাঠিতে খাল খননে দুর্নীতির অভিযোগ

২০১৫ এপ্রিল ১৭ ১৮:৩৩:৪৯
ঝালকাঠিতে খাল খননে দুর্নীতির অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে জেলায় বরাদ্দকৃত ২৪৯ কিলোমিটার খাল খননের অর্থ লোপাট হচ্ছে । জেলার ২০টি ইউনিয়নে ২৪৯ কিলোমিটার খাল খননের বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৩শ কোটি টাকা।

ইতোমধ্যে খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। এসব খালে পানি রেখেই খননের নামে চলছে পাড় ছাটাই। এসব কথিত প্রকল্পের দায়সারা কাজ দেখিয়ে একদিকে দরিদ্র শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে লুটপাট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, পকেট ভারী হচ্ছে কিছু অসাধু মেম্বর ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের।

ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোসিও ইকোনমিস্ট সাইদুর রহমান বলেন, শিল্পমন্ত্রী ও ঝালকাঠি-২(সদর-নলছিটি) আসনের এমপি আমির হোসেন আমুর প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের জন্য চলতি বছর বরাদ্দ আসে। সে অনুযায়ী সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ১২ কিলোমিটার, কির্ত্তিপাশা ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, কেওড়া ইউনিয়নে ১২ কিলোমিটার, নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নে ২৪ কিলোমিটার, বিনয়কাঠি ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, নবগ্রাম ইউনিয়নে ৫ কিলোমিটার, পোনাবালিয়া ইউনিয়নে ৬ কিলোমিটার, বাসন্ডা ইউনিয়নে ২০ কিলোমিটার, নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, সুবিদপুর ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, কুলকাঠি ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, দপদপিয়া ইউনিয়নে ১০ কিলোমিটার, ভৈরবপাশা ইউনিয়নে ৫ কিলোমিটার, মগড় ইউনিয়নে ৫ কিলোমিটার, রানাপাশা ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে ১৫ কিলোমিটার, আমুয়া-পাটকেলঘাটা দুটি ইউনিয়ন মিলিয়ে ১৫ কিলোমিটার খাল খননের বরাদ্দ রয়েছে।

গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় বরাদ্দের প্রকল্প দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি হচ্ছে ধানসিড়ি নদীর মোহনা থেকে সাচিলাপুর এবং দেউলকাঠি এলাকার ছোট-বড় ২৪ কিলোমিটার খাল খনন। সেখানে খাল খননের পরিবর্তে বাস্তবে পাড় ছেটে মাটি কাটতে দেখা যায়। এ মাটি কোথাও পূর্বের নির্মিত রাস্তার উপরে, কোথাও ধান ক্ষেতের পার্শ্বে ফেলে নতুন সড়ক দেখানো হচ্ছে। এই কাজের ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, অনেক বছর আগে ইসলামিক সংস্থার অর্থায়নে খাল পাড়ের এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এখন খাল খনন না করে পার ছাটা হলেও দেখবে কে ? খাল খননের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মোঃ নুরুল আলম, নাজমা বেগম সহ আরো অনেকে জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান হাওলাদার এবং বর্তমান ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন আমাদের খাল পাড়ের মাটি ছেটে রাস্তার উপর ফেলতে বলায় তাই করছি।

অভাবের জন্য এখানে কাজ করে কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও কোন পারিশ্রমিক পাইনি। ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় একাজ সম্পর্কে আমার কিছু করার নেই। কাজের মান ভালো-মন্দ এটা এলজিইডি কর্মকর্তারা দেখবেন। এ প্রকল্পের পরিদর্শক ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোসিও ইকোনমিস্ট সাইদুর রহমান বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টায় বরাদ্দ এসেছে। কাজ শুরু হয়েছে। শেষ না করা পর্যন্ত কাজের মান, ডিজেইন এবং প্লান অনুযায়ী না হলে শতভাগ কাজ করানো হবে। মোট বরাদ্দের পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাবে না তবে প্রায় ৩শ কোটি টাকা রয়েছে বলে জানান তিনি।

(এএম/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test