E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরণখোলায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

২০১৫ এপ্রিল ২৩ ১৪:১০:৩৯
শরণখোলায় ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোন সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত বাগেরহাটের শরণখোলায় দশটি জরাজীর্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত ক্লাস করছে দু’হাজারের অধিক কোমলমতি শিশু। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্র্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করেও কোন ফল পাননি বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিদ্যালয়গুলোর জরাজীর্ন ভবন ছাড়াও ক্লাস রুম, বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটসহ নানা সংকটের চিত্র দেখাগেছে।

আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই সকল বিদ্যালয়ের অনেকটাতেই পাঠদান (ক্লাস) করানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জরাজীর্ন ভবনের কোন অংশ ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হতাহতের আশংকায় কোন কোন বিদ্যালয়ে পাঠদান (ক্লাস) চলছে ভাড়া করা ঘর, ঝুঁপড়ি ঘর বা খোলা আকাশের নিচে।
শরণখোলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়,উপজেলার ৩৭ নং পশ্চিম বানিয়াখালী, ৬২ নং দক্ষিন ধানসাগর, ৬১ নং রাজাপুর নেছারিয়া,৩৬ নং পশ্চিম ধানসাগর,উত্তর মালিয়া রাজাপুর,৪১ নং উত্তর কদমতলা,৪৫ নং ছোট রাজাপুর,৪০নং পশ্চিম খোন্তাকাটা, ৫৬ নং পূর্ব খোন্তাকাটা ও ৩৯ নং মধ্য বানিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দশটি বিদ্যালয়ের জরাজীর্ন ও পরিত্যাক্ত ভবনে দু’হাজারের অধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। ওই সকল বিদ্যালয়গুলোর নুতন ভবন ও পুনঃ নির্মাণের কথা উল্লেখ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার অবহিত করেও প্রতিকার পায়নি খোদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ।

৩৭নং পশ্চিম বানিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমা, শারমিন, রবিউল, আঃ রহিমসহ অনেকই জানায়,তাদের বিদ্যালয়টির বিল্ডিং (ভবনে) বড় বড় ফাঁটল দেখা দেয়ায় বিদ্যালয়ের মধ্যে কেউ প্রবেশ করে না। বাধ্য হয়ে ঝুঁপড়ি ঘরে ক্লাস করতে হয় তাদের। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম সরোয়ার বলেন,বিদ্যারয়ের ভবনটি ২/৩ বছর পূর্বে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে পার্শবর্তী ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমানের বাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়ে প্রায় এক বছর ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয়া হয়েছে।

বাড়ার টাকা না থাকায় এখন ঝুঁপড়ি ঘরে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষক শিক্ষার্থীরা খাবার পানি ও টয়লেটের কাজ বিদ্যালয়ের আশে-পাশের বাড়িতে সারতে বাধ্য হচ্ছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্ম্দ মুশতাক আহম্মদ বিদ্যালয়গুলোর দূরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন,জরাজীর্ন বিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরী করে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও বছরের পর বছর ধরে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে করে সুপার সাইক্লোন সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত বাগেরহাটের এই উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা শুরু হলে শিশুদের জীবন বাঁচাতে এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশই বন্ধ হয়ে যাবে।
(একে/পিবি/ এপ্রিল ২৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test