E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবন সুরক্ষায় একজন নিরাপত্তারক্ষী !

২০১৫ এপ্রিল ২৬ ১৪:১৮:৪৯
সুন্দরবন সুরক্ষায় একজন নিরাপত্তারক্ষী !

বাগেরহাট প্রতিনিধি : দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ আর প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরীসহ জীব বৈচিত্র্যের সম্ভার। বনসহ এসব বন্যপ্রানী সংরক্ষণে পূর্ব সুন্দরবন অংশে প্রতি ৮ কিলোমিটারের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র একজন নিরাপত্তারক্ষী।

অন্যদিকে ঝুঁকি ভাতাসহ সরকারি সুযোগ সুবিধা না থাকায় দিন দিন বাড়ছে শূন্য পদের সংখ্যা। এ অবস্থায় লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেসে গড়ে উঠে বৃহত্তর প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ‘সুন্দরবন’। এবনের বন্যপ্রানী রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ ও প্রধান উদ্ভিদ ‘সুন্দরী’সহ জীব বৈচিত্র্যের কারনে এখন তা ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ বা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে খ্যাত । এবনের গাছ-পালার মধ্যে ৭৩ ভাগই হচ্ছে ‘সুন্দরী’ গাছ। এ কারণে এবন ‘সুন্দরবন’ নামে খ্যাত। এই বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণসহ জীব বৈচিত্র্যে সংরক্ষনে জনবল সংকটে রয়েছে এই বন। ম্যানগ্রোভ এবনের প্রতি ৮ বর্গ কিলোমিটারে পাহারা দেয় মাত্র একজন বন প্রহরী। একজন বন প্রহরীর পক্ষে বন পাহারা দেয়া মোটেও তা সম্ভব নয় বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বাগেরহাট অংশের তিন উপজেলা শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মংলা সংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনকে শরণখোলা ও চাঁদপাই দুটি রেঞ্জে বিভক্ত করেছে বন বিভাগ। এ রেঞ্জের অধীনে ৮টি স্টেশন ও ৩০টি ফাঁড়ি রয়েছে। আর প্রতি ৮ বর্গ কিলোমিটারের নিরাপত্তায় কাজ করেন মাত্র একজন বনরক্ষী। সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশের মোট আয়তন ৬০১৭ বর্গ কিলোমিটার।এর মধ্যে বাগেরহাটের পূর্ব সন্দরবনের আয়তন ২৪৩০ বর্গ কিলোমিটার। বিশাল এই বনে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮ জন বন পাহারদার খুবই অপ্রতুল।
দীর্ঘদিন নতুন নিয়োগ না থাকায় শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। নেই কোন চিকিৎসা সেবা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনে লোকবল ও মনোবল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যারা কর্মরত আছেন তারা পয় না রেসন ও ঝুকিঁ ভাতা। এছাড়া বনে বাঘ ও জলে কুমিরসহ হিংস্র প্রানীর সাথে জীবনের ঝকিঁ নিয়ে তাদের চলে বন পাহারার কাজ। অথচ তাদের নেই কোন নূন্যতম সুযোগ সুবিধা। বনের নিরাপত্তা কর্মীরা বলেন, বনের বাঘ, জলদস্যু ইত্যাদির মাঝেও ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ঝুঁকিভাতা, রেশন দেয়া হয় না। সুন্দরবনকে বাচ্ঁতে হলে লোকবল বাড়ানোসহ বনরক্ষীদের জন্য পযাপ্ত নৌযান,ঝুঁকি ভাতা প্রদান ও তাদের বসবাসের উপযোগী অবকাঠমো তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, বনে যথেষ্ট লোকবল সংকটের অভাব। যারা আছে তাদের রেশন ভাতা, ঝুঁকিভাতার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তবনা পেশ করা হয়েছে। এদিকে লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে বন রক্ষীদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।
(ওএস/পিবি/এপ্রিল ২৬,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test