E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র অপহৃত: ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার

২০১৪ মে ১৪ ২০:২৫:৩১
পেকুয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র অপহৃত: ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার

পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণের ৮ঘন্টা পর মূমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র জিহাদুল ইসলাম(১৩) চকরিয়া মধ্য কোনাখালী ৩নং ওয়ার্ড়ের হাফেজ মৌলভী মো: ইউনুচ এর পুত্র  ও স্থানীয় পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র।

অপহরণকারীরা কৌশলে ওই ছাত্রকে অপহরণ করে অভিভাবকের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবী করেছিল। তাদের দাবীকৃত মুক্তিপণ না দেওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পেকুয়া বাগুজারা রাবার ড্যামের পাশের নির্জন স্থানে রেখে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রকে মূমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখমের দাগ রয়েছে। পেকুয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সীমান্তের পহরচাঁদা মাদ্রাসা এলাকা থেকে হাফেজ জিহাদুল ইসলামকে ৪/৫ জন দূর্বৃত্ত অপহরণ করে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় জোর করে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বহু জায়গায় খোঁজ করে জিহাদুলকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাগুজারা রাবার ড্যামের পার্শ্বের নির্জনস্থান থেকে মূমর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপহৃত মাদ্রাসা জিহাদ অভিযোগ করে বলেন, তাকে ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে পহরচাঁদা গোবিন্দপুর এলাকার বখাটে আবু তাহের (২০), আমির হামজা (২১) ও জুবাইরের নেতৃত্বে আরো ৪/৫জন দূর্বৃত্ত অপহরণ করে নির্জন স্থানে আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। এরা কয়েকবার আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। আমি তাদের হাতে-পায়ে ধরে আল্লাহর ওয়াস্তে আমার জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। পরে আমাকে তারা ব্যাপক ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে মূখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

অপহৃত জিহাদের পিতা হাফেজ মৌলভী ইউনুচ জানান, অপহরণকারী দূর্বৃত্তরা অপহরণের কিছুক্ষন পর একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছিল। মুক্তিপণ না দিলে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে অপহরণকারীরা যে মোবাইল থেকে কথা বলছিল সেটি বন্ধ করে দেয়। পরে তিনি বিষয়টি পেকুয়া ও চকরিয়া থানাকে অবহিত করেন। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, অপহৃতের পিতা এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমকেইউ/অ/মে ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test