E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মদনে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২০১৫ মে ০১ ১২:১১:২১
মদনে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদন উপজেলার বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আজিজুল হক লাইব্রেরিয়ান পদে শিক্ষক নিয়োগের কোন নির্দেশ বা শাখা খোলার কোন অনুমতি না থাকার পরও এই পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রথমে শূন্যপদে ও পরে সৃষ্টপদে শিক্ষক নিয়োগ এর জন্য পত্রিকায় পর পর দু’বার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই পদে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। সুপার আবেদনকারী কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সেহড়া গ্রামের মোঃ আঃ খালেকের ছেলে মোঃ নুরুল ইলসামের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাকে লাইব্রেরিয়ান পদে চাকরি দিবে বলে মাদ্রাসা উন্নয়নের কথা বলে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নেন। পরর্বতীতে নুরুল ইসলাম জানতে পারেন যে, লাইব্রেরিয়ান পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সরকারি ও কর্তৃপক্ষের কোন নির্দেশ বা অনুমতি নেই। এমনকি ওই মাদ্রাসায় পদটির শাখা খোলা হয়নি। নুরুল ইসলাম কিছুদিন পর সুপারের নিকট টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করে দীর্ঘ ৩ বৎসর অতিবাহিত করেন। টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য নরুল ইসলামের আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের নিয়ে দফায় দফায় সুপারকে চাপ প্রয়োগ করা হলেও অদ্যবধি টাকা ফেরত পায়নি। শিক্ষক নিয়োগ বাবদ উৎকোচ নিয়েছেন কথাটি ধামাচাপা দিয়ে পারিবারিক সমস্যা উল্লেখ করে ৩০০ (তিনশ) টাকার স্ট্যাম্পে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা হাওলাত নিয়েছেন সুপার যা ৩ কিস্তিতে পরিশোধ করবেন বলে সাক্ষীগণের সামনে লিখিত অঙ্গীকার করেন। সুপার অঙ্গীকার মোতাবেক টাকা পরিশোধ না করে উল্টো নুরুল ইসলামকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। নুরুল ইসলাম প্রাণ নাশের ভয়ে ২৬/১/১৫ ইং তারিখ নেত্রকোণা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫১/১৫ নং মামলা দায়ের করেন এবং নিরুপায় হয়ে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সকল তথ্য লিপিবদ্ধ করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মোঃ আজিজুল হক জানান, শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকারি বিঞ্জপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পরবর্তীতে স্থগিত নির্দেশ দেয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ রেজাউল হক জানান, আমি এ ব্যাপারে অবগত হয়ে বেশ কয়েকটি দেনদরবারও করেছি কিন্তু সুফল হয়নি। এ অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুরশীদ শাহরিয়র এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(এএমএ/এসসি/মে০১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test