E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের কান্ড!

২০১৫ মে ১০ ১৯:০৯:৩৭
কলাপাড়ায় ইউপি সদস্যের কান্ড!

কলাপাড়া প্রতিনিধি : মাছ ব্যবসার লোকসানের টাকা আদায় করতে জেলে নাসির হাওলাদারকে (৩০) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিজ ঘরে আটকে বেধড়ক মারধর করে সারা রাত আটকে রেখেছে ইউপি সদস্য মো. ফেরদৌস। এ সময় তাকে কিছুই খেতে দেওয়া হয়নি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাসিরকে ছাড়িয়ে নিতে একাধিকবার তার স্ত্রী ইউপি সদস্যের বাসায় গেলেও তাকেও মারধরের ভয় দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। স্বামীর জীবন রক্ষায় আমেনা বেগম রাতে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ করলে রবিবার সকালে নাসিরকে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা যায়, ইউপি সদস্য ফেরদৌসের মাছ ধরা ট্রলারে নাসিরসহ ১২/১৩ জেলে ৪০/৪৫ হাজার টাকা করে দাদন নিয়ে মাছ ধরার কাজ করে। গত মৌসুমে সাগরে বেশি মাছ ধরা না পড়ায় জীবিকার প্রয়োজনে কয়েকজন জেলে ট্রলার থেকে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। এ কারণে ইউপি সদস্যের ট্রলারের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায় এবং লোকসানের কবলে পড়ে। আমেনা বেগমের অভিযোগ, মেম্বর তার স্বামীকে বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। স্বামীকে বাঁচাতে মেম্বেরের হাত-পা ধরলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো তাকেও মারধরের ভয় দেখায়। তিনি বলেন, তার স্বামীর কাছেতো কোন টাকা পাইবে না। তাহলে তাকে কেন মারধর ককরবে। তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করি। তার অভিযোগ, এর আগেও টাকার জন্য রাসেল ও মিলন নামের দুই জেলেকে ঢাকা থেকে ধরে এনে মারধর করে। তাদের পাঁচ/ছয়দিন করে আটকে রেখে টাকা আদায় করে। তবে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়নি।


এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. ফেরদৌস জানান, নাসিরের কারনে তার এই মৌসুমে ৪/৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তার কাছ থেকে দাদন নেয়া জেলেদের ফুসলিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়ে তার ট্রলারের মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে সে। কি কারনে এটা করেছে তা জানার জন্য নাসিরকে শুধু বাসায় ডেকে এনেছি। একটি থাপ্পড় দেয়া ছাড়া কোন মারধর করিনি। পরবর্তীতে স্থানীয় গন্যমান্য মানুষের উপস্থিতিতে সালিশ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সালিশে উপস্থিত ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন তালুকদার জানান, নাসিরের কারনে মেম্বরের মাছ ধরা ব্যবসা শেষ। তাই ফেরদৌস তার কাছে যে টাকা পাবে তা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবে এ ওয়াদা করলে সবার উপস্থিতিতে নাসিরকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে নাসিরকে মারধর করা হয়েছে কিনা জানি না।
কলাপাড়া থানার এসআই মো.ইদ্রিস আলী জানান, আমেনা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাসিরকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

(এমকেআর/পি/মে ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test