E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এ কেমন নির্যাতন

২০১৫ মে ১৩ ১৮:৩১:১৪
এ কেমন নির্যাতন

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পান্থাপাড়া গ্রামে রেশমা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধুকে হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন গোপণ অঙ্গে সিগারের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধুকে গুরুতর আহত অবস্থায় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়, পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে কালকিনির ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পান্থাপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে আকাশ ওরফে তারা তালুকদারে সাথে একই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধুয়াসার গ্রামের আলাউদ্দিন মাতুব্বর মেয়ে রেশমা আক্তারের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর শান্তিতেই কাটছিল দিন। এরই মধ্যে রেশমা একটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্ম দেয়। গত তিন বছর আগে একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আকাশ।

সেই থেকে সংসারে শুরু হয় অশান্তি। এরই জের ধরে স্বামী আকাশ তালুকদার মঙ্গলবার রাতে রেশমার হাত-পা বেঁধে, মুখ সুপার গ্লু দিয়ে বন্ধ করে গোপণ অঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আকাশ তালুকদার পলাতক রয়েছে।

নির্যাতিত গৃহবধু রেশমা আক্তার জানান, তিন বছর আগে লাকি নামে একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে আকাশ। সে ঐ মেয়েকে বিভিন্ন সময় বাড়িতে নিয়ে এসে সময় কাটায়।

আমি তাকে বাধা দিলে প্রায়ই আমাকে মারধর করত। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে আমার মাথাব্যথা শুরু হয়। এসময় ও (আকাশ) আমাকে তিনটি ট্যাবলেট খেতে দিয়ে বলে খেলে মাথাব্যথা কমে যাবে। আমি ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পরি। এরপর আমার মুখ সুপার গ্লু দিয়ে বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাকা দেয়।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ডা.শাহরিয়ার রেজা জানান, ‘মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে দেখি বিভিন্ন অঙ্গে নির্যাতনের ক্ষত। সিগারেটের ছ্যাকার দাগ। ওর মুখ সুপার গ্লু দিয়ে বন্ধ করা ছিল।’

নির্যাতিত গৃহবধুর মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমরা এই বর্বরটার (আকাশের) বিচার চাই কিন্তু গরীব মানুষ। মেয়ের চিকিৎসা খরচের টাকা জোগার করতে পারছিনা। মামলা মোকদ্দমা করতে তো অনেক টাকা লাগবে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিত আমাদের উপকার হত।

কালকিনির ডাসার থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি নির্যাতিত গৃহবধুর পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয় তাহলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

(এএসএ/এএস/মে ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test