E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবনে জাহাজডুবি

সার অপসারন হলেও হয়নি জাহাজ উদ্ধার

২০১৫ মে ১৩ ১৯:৩২:৪৬
সার অপসারন হলেও হয়নি জাহাজ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীতে ডুবে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজ থেকে সার অপসারন শেষ হলেও ৯ দিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি জাহাজটিকে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয় শ্রমিকরাই জাহাজ ডুবির পর থেকে প্রতিদিন ভাটার সময় অল্প অল্প করে পলি পড়ে জমাট বাধা সার উত্তোলন করে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই জাহাজ থেকে জমাটবাঁধা সার সম্পূর্ণ উত্তোলন (অপসারন) করা সম্ভব হয়েছে বলে সুন্দরবন বিভাগ দাবি করেছে। এ পর্যন্ত ওই জাহাজ থেকে সাত টন পটাশিয়াম (টিএসপি) সার উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি ৭শ’ ৬০ মেট্রিক টন সার পানিতে গলে মিশে গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের একটি টিম জাহাজ ডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন জানান, এমভি জাবালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজডুবির পর ৫ মে রাত থেকে স্থানীয় ২০-২৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করে সার উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়। একসঙ্গে দুটি ড্রেজিং মেশিন দিয়ে চেষ্টা করা হলেও মূলত ওই মেশিন কোন কাজে আসেনি। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকরাই চেষ্টা চালিয়ে ওই জাহাজ থেকে সম্পূর্ণ সার উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন। আটদিন ধরে ডুবে যাওয়া ওই জাহাজ থেকে সাত টন সার উত্তোলন করা হয়েছে বলে ওই বন কর্মকর্তা দাবি করেন।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, তাদের তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

জাহাজটি উত্তোলনের জন্য মালিক পক্ষের লোকজন বুধবার সকাল থেকে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। তবে ২/৩ দিনের মধ্যে তাদের উদ্ধারকারী নৌযান কার্গো জাহাজটি উদ্ধার কাজে যুক্ত হবে।

এমভি জাবালে নূর নামে লাইটারেজ জাহাজটি মংলা থেকে ৬শ’ ৭০ মেট্রিক টন এমওপি সার নিয়ে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে আশুগঞ্জে যাচ্ছিল। ৩ মে ওই জাহাজটি সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানাধীন বনের মরাভোলা নদীর চরে আটকা পড়ে। দুইদিন পর ৫মে জাহাজটিকে উদ্ধার করার সময় তলা ফেটে ডুবে যায়।

এ ঘটনায় বন বিভাগ বাদী হয়ে ওই জাহাজের মালিক আমিনুল ইসমালসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুন্দরবনের জলজ সম্পদ ও পরিবেশগত এক কোটি টাকা ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

(একে/পিএস/মে ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test