E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাজিরায় বোমা তৈরি করতে গিয়ে ১ জনের মৃত্যু

২০১৫ মে ১৯ ১৬:৪২:১৪
জাজিরায় বোমা তৈরি করতে গিয়ে ১ জনের মৃত্যু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের ইয়াসিন মাদবর কান্দি গ্রামে বোমা বানাতে গিয়ে অনিক (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছারাও আহত হয়েছে আরো ২জন। এদের মধ্যে মোকসেদ মাদবর নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করে ঘর দরজা কুপিয়ে গবাদিপশু লুট করে নিয়ে গেছে অপর পক্ষ। মামলা ও হামলার ভয়ে এলাকা এখন পুরুষ শুন্য।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলাশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মেছের উদ্দিন মাদবর ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারীর মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন থেকে দ্বন্দ চলে আসছিল। গত এক সপ্তাহ যাবৎ উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ বাড়িঘরে ককটেল হামলা হয়ে আসছিল। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেছের মাষ্টারের ভাতিজা মনির হোসেন মাদবরের ছেলে অনিক মাদবরসহ কয়েকজন মিলে ইয়াসিন মাদবরের কান্দি রশিদ খন্দকারের বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড় ও পাট ক্ষেতের মধ্যবর্তী স্থানে বসে বোমা/ককটেল তৈরি করছিল। এসময় হঠাৎ ককটেলের বিস্ফোরণে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। বিস্ফোরণে অনিক মাদবর, মোকসেদ মাদবর ও সাগর খান নামে তিন যুবক আহত হয়। আহতদের মধ্যে অনিক ও মোকসেদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে বেলা সোয়া তিনটার দিকে অনিককে মৃত্যু ঘোষণা করে চিকিৎসক। মোকসেদ মাদবর এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে অনিক মারা যাওয়ার খবর এলাকায় পৌছলে মেছের মাদবর সমর্থকরা কুদ্দুস বেপারীর সমর্থদের উপর হামলা করে কুদ্দুস বেপারীর আত্মীয় রাজ্জাক মাদবরও দুলাল মাদবরের বসতঘর কুপিয়েছে বলে জানা গেছে। এছরাও সুরৎখার কান্দি গ্রামের আলী হেসেন শেখ এর ৬টি, আলী আহমদ শেখের ৭টি, খোদাবক্স বেপারীর ২টি, ইউনুছ ভূইয়ার ৩টিসহ মোট ২৫ গরু লুট করে নিয়ে যায়।

মেছের মাদবরের বড় ছেলে সালেক মাদবর বলেন, আমাদের উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীর লোকেরা অতর্কিতে আমার চাচাতো ভাই অনিকের উপর বোমা হামলা করে। এসময় অনিকসহ কয়েকজন মিলে পাট ক্ষেতে নিরানী দিচ্ছিল। অনিককে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলেও বাচানো সম্ভব হয়নি। আমরা এঘটনার বিচার দাবি করছি।

বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, এলাকায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মেছের মাদবর তার সমর্থকদের দিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে আসছে। আমার নিজ বাড়িতে ও গত এক সপ্তাহ আগে শতাধিক ককটেল নিক্ষেপ করেছে। আজ আবার নতুন করে ককটেল হামলার জন্য ককটেল বানাতে গিয়ে মেছের মাদবরের ভাতিজা মারা গেছে। এর পর উল্টো আমার সমর্থকদের বাড়ি ঘরেই হামলা করে তাদের গরু বাছুর লুট করে নিয়ে গেছে। আমি সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে বোমা তৈরীর কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করি। বোমা তৈরির আলামত পাওয়া গেছে। বেশ কিছু জর্দার কৌটা, কাঠের গুড়া সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে। আমরা আহতদের আটক করতে পারিনি। এর আগেই গোপনভাবে তাদের সড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শুনেছি চিকিৎসাধীন অবস্তায় ঢাকায় একজন মারা গেছে। থানায় মামমলার প্রস্তুতি চলছে।
(কেএনআই/পিবি/মে ১৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test