E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগৈলঝাড়ায় শিকলে বাধা যুবক ছয় দিন পর উদ্ধার ,স্থানীয়দের জিম্মায় মুক্তি

২০১৫ মে ২০ ১৫:২৪:২১
আগৈলঝাড়ায় শিকলে বাধা যুবক ছয় দিন পর উদ্ধার ,স্থানীয়দের জিম্মায় মুক্তি

আঞ্চলিক প্রতিনিধি(বরিশাল):পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ছয় দিন পর পুলিশের মাধ্যমে অবশেষে বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেল নির্যাতিত যুবক। পুলিশ মঙ্গলবার রাতে নির্যাতীতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কথিত স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এসআই মনোরঞ্জন মিস্ত্রী জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পূর্ব গোয়াইল গ্রামের অমিয় মধুর ঘর থেকে বাশাইল গ্রামের গৌরাঙ্গ লাল মুন্সীর ছেলে সুমন মুন্সী(২২)কে উদ্ধার করা হয়। তবে ওই সময় তার পা শিকলে বাঁধা ছিলনা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মনোরঞ্জন আরও বলেন, সুমনের সাথে আত্মীয়তার সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী পূর্ব গোয়াইল গ্রামের অমিয় মধুর মেয়ে ও পূর্ব গোয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী মধুর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে অবৈধ সম্পর্কর মাধ্যমে সাথী চার মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পরে।

১৪মে সন্ধ্যায় সাথী মোবাইল ফোনে সুমনকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। সাথীর ডাকে সাড়া দিয়ে সুমন তাদের বাড়িতে গেলে সাথীর বাবার ভাড়াটিয়া লোকজন সুমনকে আটক করে জোর করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। এর পর থেকে সুমন পালানোর আশংকায় সাথীর বাবা অসীম ও মামা লিটন হালদার সুমনের পায়ে শিকল দিয়ে ঘরের ঘুটির সাথে বেঁধে রাখে। তবে কোন পরিবার থেকেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সুমনকে উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাথী, তার বাবা ও মামা একই গ্রামের নিরঞ্জন হালদারের ছেলে লিটন হালদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার ও স্থানীয় সমাজসেবক সাইদুল সদরারের উপস্থিতিতে পুলিশের উর্ধতন কর্তপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষ তাদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।


(টিবি/এসসি/মে২০,২০১৫)





পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test