E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দায় কালি মন্দির ঘেঁসে নির্মাণ করা হচ্ছে ল্যাট্রিন

২০১৪ মে ১৬ ১৮:২৪:১৬
মান্দায় কালি মন্দির ঘেঁসে নির্মাণ করা হচ্ছে ল্যাট্রিন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিংগী বাজারে শিবকালি মন্দিরের সম্পত্তি জবরদখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছেন কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াদ আলী মণ্ডল।

শুধু তাই নয়, কালিমন্দিরের পেছনেই ল্যাট্রিন তৈরি করছেন তিনি। যাতে ওই মন্দিরে পুজো করার মতো কোন পরিবেশ না থাকে। ঘটনায় এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পিতাম্বর কবিরাজ জানান, শিংগী বাজারের ৭৪ শতক দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর শিবকালি মন্দিরটি অবস্থিত। ৭২ সালে এই দেবোত্তর সম্পত্তি হাটের নামে রেকর্ডভূক্ত করে নেয়া হয়। রেকর্ড সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসক নওগাঁ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মান্দা ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা গোটগাড়ীকে বিবাদি করে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর অবস্থিত বট গাছের গোড়ায় কালির একটি মূর্তি রেখে পুজা-অর্চনা করে থাকেন এলাকার কয়েক গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তিনি আরো জানান, হঠাৎ করেই মন্দিরের জায়গা দখল করে ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াদ আলী মন্ডল সেখানে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র সাহা ও কোষাধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র সন্যাসী জানান, প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসে এই মন্দিরে পাঁঠাবলিসহ বড় আকারে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। চেয়ারম্যান জায়গা দখল করে নেয়ায় এবছর পুজা-অর্চনার কাজ আর হবে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
শিংগী হাট কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান, স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস, সোহান মণ্ডল জানান, চেয়ারম্যান ইয়াদ আলী মণ্ডল ও তার চাচাতো ভাই খয়বর আলী মন্দিরের চারপাশের জায়গা দখল করে কালি মূর্তি ভেতরে রেখেই কয়েকটি পাকাঘরের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কালিমূর্তির পেছনে তৈরি করা হচ্ছে ল্যাট্রিন। এতে পুজোর কাজ চালিয়ে নেয়ার মতো আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাঙ্গামাটি খালের ওপর নির্মিত কালভার্ট ভেঙ্গে সেখানে একটি স্লুইচগেট নির্মাণ করা হচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলা কালভার্টের ইট এনে চেয়ারম্যান মন্দিরের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
চেয়ারম্যান ইয়াদ আলী মণ্ডল ঘর নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অতীতে দেবোত্তর সম্পত্তি হলেও বর্তমানে এটি হাটের জায়গা। মন্দিরের সম্পত্তিতে নয়, হাটের সরকারি জায়গায় ব্যক্তিগত চেম্বার ও ল্যাট্রিন তৈরি করছেন বলে দাবি করেন তিনি।
(বিএম/এএস/মে ১৬, ২০১৪)



পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test