E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোরে অপহরনের ৪ ঘন্টা পর অপহৃত উদ্ধার, আটক ৩

২০১৫ মে ২৬ ২১:০৬:৫০
নাটোরে অপহরনের ৪ ঘন্টা পর অপহৃত উদ্ধার, আটক ৩

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে তোফায়েল হোসেন বকুল (৩৫) নামে এক ঔষধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার অপহরণের ৪ ঘন্টার পর পুলিশ উদ্ধার করেছে।

মঙ্গলবার শহরের মল্লিকহাটি ঘোষপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত তোফায়েলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরনকারী দলের ৩ সদস্যকে পুলিশ আটক করে।

অপহরনকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে সাদা পোশাকের পুলিশ ওই ৩ জনকে আটক করে। আটক ৩ জন হলো শহরের কানাইখালী চালপট্রি এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সনি (২০), মল্লিকহাটি এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে সজিব হোসেন (২৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর নওপাড়া এলাকার ময়েন উদ্দিনের ছেলে সেলিম রেজা (৩১)।

পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার একডালা গ্রামের জাফর আলী প্রামানিকের ছেলে মেডিকোণ ফার্মসিউটিক্যাল নামের ঔষধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার তোফায়েল হোসেন বকুল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মোটর সাইকেলে নাটোর শহরে আসেন। ১২টার দিকে শহরের কানাইখালী এলাকায় ৫/৬ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা তোফায়েলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রী মনি বেগমের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। মনি বেগম মোবাইলে ঘটনাটি নাটোর ও নলডাঙ্গা থানা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অবগতসহ মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

ঘটনাটি জানার পর নলডাঙ্গা থানায় অবস্থানরত নাটোরের পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক তাৎক্ষানিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে নাটোর ও নলডাঙ্গা থানার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

নির্দেশ পেয়ে নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ও এসআই তাহেরসহ পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান শুরু করেন।

ইত্যবসরে মনি বেগমের সঙ্গে অপহরণকারীদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সূত্র ধরে পুলিশ তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে মুক্তিপণের টাকার জন্য অপহরণকারীরা মনি বেগমকে শহরের মল্লিকহাটি ঘোষপাড়া এলাকায় একটি পুকুরের ধারে যেতে বলে। মনি বেগম যাওয়ার আগেই সাদা পোশাকের পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপহরণকারী দলের ওই ৩ সদস্য সেলিম রেজা, জাহিদুল ইসলাম ও সজিব হোসেন অপহৃত তোফায়েলকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে ওৎ পেতে থাকা পুলিশ তোফায়েলকে উদ্ধারসহ তাদের আটক করে।

সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার কথা বলে অপহরণকারীদের ট্র্যাক করা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জেনে অপহৃতকে উদ্ধারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(এমআর/পিএস/মে ২৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test