E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোরে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ

২০১৫ মে ৩১ ১৮:৪৭:৪১
নাটোরে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে জেএমবির  সিরিজ বোমা হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষ হয়েছে। রবিবার নাটোররের অতিরিক্ত জেলা জজ মোঃ শহিদুল ইসলামের আদালতে জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিউর রহমান স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।

এ নিয়ে ৬৪ জনের মধ্যে ৪৩ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হলো। আগামী ১২ জুলাই আসামীদের ফৌ:কা: বি ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তি গ্রহনকারী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবীবুর রহমানের স্বাক্ষির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।

এদিকে বিশেষ নিরাপত্তায় এই মামলায় আটক ৭ জেএমবি সদস্যদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শহীদুল্লাহ তারেক এবং নাটোর কারাগার থেকে আব্দুর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন মিঠু , হাফিজুর রহমান হাফিজ , শিহাব উদ্দিন শিহাব, আব্দুল মতিন ওরফে ইসমাইল, শহীউল্লাহ ওরফে ফারুককে দুপুর ১২ টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে আনা হয়।

২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট নাটোরে জজ আদালত, ডিসি অফিস, ট্রেজারি, বাসস্ট্যান্ড, পেট্রোলপাম্প সহ ৮টি স্থানে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।বোমা বিষ্ফোরণের স্থানে ইসলামি শাসন কায়েমের লক্ষ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আহ্বান সম্বলিত জামায়েতুল মোজাহিদিন বাললাদেশ জেএমবি’র প্রচারপত্র বা লিফলেট পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে নাটোর থানার উপ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে। পরে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জেএমবি সদস্য শহীদুল্লাহ্ তারেক ওরফে তুষার বিপুল পরিমান জেহাদী বই, লিফলেট ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

তারই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাটোরর মীরপাড়া জেএমবির আস্তানায় নাটোর ও রাজশাহী জেলার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নাটোরের মীরপাড়ায় জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় অপারেশর হেডকোয়ার্টার খাদেমুল ইসলামের তিনতলা ভবন থেকে ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের সাথে জেএমবি সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়।

বোমা ফাটিয়ে জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়েখ আব্দুর রহমানের জামাতা আব্দুল অওয়ালসহ অন্যরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান জেহাদী বই, মোবাইল, মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, বিষ্ফোরক দ্রব্য, হিট লিষ্ট উদ্ধার করে। আটক শিহাব , দেলোয়ার হোসেন মিঠু, হাফিজুর রহমান হাফিজ ও আব্দুল মতিন ৪ জন ১৬৪ ধারামতে নাটোরের তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট এম এম আরিফ পাশার কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলে তারা জেএমবি আত্মঘাতি স্কোয়াডের সদস্য ।

এ মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্ত আইও নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান তদন্ত শেষে আত্মস্বীকৃত জেএমবির সুসাইড স্কোয়াডের সদস্য হাফিজুর ইসলাম হাফিজ ওরফে নোমান, দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফজলার রহমান, শিহাব উদ্দিন ওরফে শিহাব ওরফে হানজালা ওরফে আনজালা, মতিন ওরফে ইসমাইলসহ শহীউল্লাহ্ ওরফে ফারুক, শফিউল্লাহ্ ওরফে তারিক,ও আবাদুর রশিদের নামে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহন করে বিচারের জন্য ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বর মামলাটি জজ আদালতে প্রেরন করেন।

(এমআর/এএস/মে ৩১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test