E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শরণখোলায় ২টি পরিবারের ঘর গুড়িয়ে দিল সুন্দরবন রক্ষীরা

ভূমিহীনদের উচ্ছেদের নামে নির্যাতনের অভিযোগ

২০১৫ জুন ০২ ১৯:৫৯:২৫
ভূমিহীনদের উচ্ছেদের নামে নির্যাতনের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা নদীর চরে বেড়িবাধের উপর আশ্রয় নেয়া ২টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের নামে নির্যাতন করে বসত ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে সুন্দরবন রক্ষীরা।

সোমবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মিয়ার পুত্র ভূমিহীন বাদশা মিয়া (৫৫) জানান, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই সোমবার আকস্মিকভাবে পূর্ব সুন্দরবনে শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা একেএম ইউসুব আলমের নেতৃত্বে দাসের ভারানী ক্যাম্পের ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানসহ একদল বনরক্ষী তাদের বসত ঘর ভেঙ্গে ফেলেন। এ সময় ছিন্নমূল পরিবারসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান হয়।

পরবর্তীতে ভেঙ্গে ফেলা ঘরের অংশ অন্যত্র সরিয়ে রাখলে স্থানীয় প্রভাবশালী মাস্টার আতাউর রহমান তালুকদার, ডাঃ শাহজাহান তালুকদার, সামছুল হক তালুকদার ও নজির হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে অসহায় ওই পরিবারের উপর ফের হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও হাড়ি-পাতিল ভাংচুর করা হয়। দুপুর খাবার ভাত রাস্তা ফেলে দেয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ সাইফুল ইসলাম, জয়নব বিবি, বাদশা মিয়া ও জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই অভিযোগ করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ জাহিদুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ রাজাপুর মৌজার ১ একর খাস জমি বন্দোবস্ত পাবার জন্য ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবরে আবেদন করে বসবাস শুরু করেন এসব ভূমিহীন পরিবারগুলো। এই অবস্থায় সুন্দরবন বিভাগ কোন নোটিশ না করেই তাদের মাথা গোঁজার ঠাইটুকু কেড়ে নেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন চাপরাশী বলেন, ভূমিহীনদের যে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তা সুন্দরবন বিভাগের নয়। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় ওই জমিকে চরের সম্পত্তি বলে রায় দিয়েছে। সরকারী সম্পত্তিতে সুন্দরবন বিভাগ প্রবেশ করে অসহায় পরিবারগুলোর উপর নির্যাতন করার বিষয়টি অনধিকার চর্চার সামিল।

সংশ্লিষ্ট রায়েন্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, সরকারী সম্পত্তি ভূমিহীনরা দখল করে থাকলে সেজন্য দেশে আইন আছে। কিন্তু সুন্দরবন বিভাগ যে কাজটি করেছে তা অমানবিক।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সুন্দরবন বিভাগের জমিতে ভূমিহীন নামধারী কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল নিয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই এলাকায় বন রক্ষীরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাত্র। তবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।

(একে/পিএস/জুন ০৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test