E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদারীপুরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

২০১৫ জুন ১১ ১৬:৫২:২৭
মাদারীপুরে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামে একটি বাল্যবিয়ের খবর পেলে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে পান্নু ফরাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়।

বুধবার দুপুরে বিয়ের সব আয়োজন শেষ হয়। শুধু বরযাত্রী আসার অপেক্ষা। ঠিক ঐ সময় স্থানীয় এক লোক নাম না প্রকাশের শর্তে সাংবাদিক আয়শা সিদ্দিকা আকাশীর কাছে ফোন করে বাল্যবিয়ের ঘটনাটি জানায় এবং বিয়ে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে। সে ব্যাপারটি মাদারীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহামুদা আক্তার কণাকে জানান।

তাৎক্ষণিক জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় বর ও বরের লোকজনকে না পাওয়ায় কনেসহ কনের অভিভাবককে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অফিসে নিয়ে আসা হয়।

১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেনা এবং পড়াশুনা করাবে এই শর্তে সন্ধ্যায় কনের মা সেলিমা বেগম স্বাক্ষর করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

সাংবাদিক আয়শা সিদ্দিকা আকাশী বলেন, জাজিরা গ্রাম থেকে ঐ লোকটি যদি ফোন না দিতো, তবে আমরা এই বাল্যবিয়ের খবরটি জানতাম না। গ্রামগুলোতে এভাবে অনেক বাল্যবিয়ে হচ্ছে। হয়তো তা আমরা জানতেও পারিনা। তাই ঐ লোকটির মতো গ্রামের সাধারণ মানুষকে বলবো সচেতনা হতে। যাতে করে আর যেন একটি বাল্য বিয়েও না হতে পারে। সেই সাথে মা-বাবাদের বেশি করে সচেতন হতে হবে। তবেই বাল্যবিয়ে কমে আসবে।

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পাওয়া মাত্রই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে টিম পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে কণের পরিবারকে অফিসে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যায় তারা মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেনা ও পড়াশুনা করাবে এই শর্তে কনের অভিভাবকের পক্ষ থেকে ওর মা স্বাক্ষর করলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

(এএসএ/এএস/জুন ১১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test