E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু

২০১৫ জুন ১৭ ১৮:০১:১১
শেরপুরে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১৮ জুন বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্খিত নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম। নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান প্রধান অতিথি হিসেবে নাকুগাঁওয়ে পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এলাকার সংসদ সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ-ভারতের সকল বৈধ পণ্য আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট সহ নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই বন্দরে কয়লা ও পাথর ছাড়া সকল পণ্য আমদানী বন্ধ করা হয়। ফলে সম্ভাবনাময় এই স্থল-শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম অনেকটা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে।

২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান বন্দরটি পরির্দশন করে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের ঘোষনা করেন। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান নাকুগাঁও এলাকায় পূর্নাঙ্গবন্দরের অবকাঠামোর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির উপর পূর্ণাঙ্গ বন্দরের জন্য ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মান করা হয়েছে। এসব অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে একটি ওয়ার হাউজ, ব্যারাক হাউজ, ওপেন ইয়ার্ড (উন্মুক্ত স্থান), প্রশাসনিক ভবন, অফিস ভবন, দুটি দোতলা ডরমেটরী ভবন এবং সীমানা প্রাচীর। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নাকুগাঁও থেকে নকলা উপজেলা পর্যন্ত সাড়ে ২৯ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছে।

নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. মাহফুযজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান বৃহস্পতিবার নাগুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হওয়ায় এ স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদিত ভারত-বাংলাদেশের সকল পন্য আমদানী ও রপ্তানী করতে পারবেন। তাছাড়া এ স্থলবন্দর ভারত ছাড়াও ভূটান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারক সনজিত সাহা জানান, সকল ব্যবসায়ীদের চাওয়া ছিলো নাকগাঁও স্থল বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ হোক। অবশেষে সেই চাওয়া পুরণ হচ্ছে। আমরা চাই দুই দেশের বৈধ সকল পণ্যের আমদানী রপ্তানীর যেন সুযোগ থাকে।

বন্দরের শ্রমিক মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই দিনডার লাইগা আমরা এক হাজার শ্রমিকসহ এলাকাবাসীরা অপেক্ষায় ছিলাম। অহন থাইকা আমগর আর বেকার থাহুন লাগতো না। পুর্ণাঙ্গ বন্দর অয়ুনে আমরা বিরাট খুশি।

নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এলাকার সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা পূরণ হবে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ মোল্লা বলেন, নাকুগাঁও পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর হিসবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ রূপলাভ করার ফলে দুই দেশের বৈধ পণ্য আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।

(এইচবি/পিবিএল/এএস/জুন ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test