E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাজ

তাড়াশ-গুরুদাসপুর মৈত্রী সড়ক বর্ষার শুরুতেই প্লাবিত

২০১৫ জুন ২০ ২০:৫২:০৬
তাড়াশ-গুরুদাসপুর মৈত্রী সড়ক বর্ষার শুরুতেই প্লাবিত

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : গুরুদাসপুর-তাড়াশ মৈত্রী সড়ক বর্ষায় প্লাবিত হওয়ায় তাড়াশ উপজেলা সদরের সাথে গুরুদাসপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বর্ষার পানি প্রবেশ করার আগেই রাস্তা ডুবে যাওয়াতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় নন্দকুজা ব্রীজ থেকে আনন্দনগর, খুবজীপুর, বামনবাড়িয়া, বিলসা, রুহাই, কুন্দইল, মাকড়শোন, কামাড়শোন ও দিঘীসগুনা হয়ে অগণিত অটোরিকসা-ভ্যান, ট্রলি-টেম্পু ও সিএনজি প্রতিনিয়ত যাত্রী ও মালামাল নিয়ে তাড়াশ উপজেলা সদরে যাতায়াত করছে।

গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের মাঝখানে বিলসার ‘মা জননী সেতু’ ওই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখলেও চলতি বছরে বর্ষার শুরুতেই গুরুদাসপুর-তাড়াশ মৈত্রী সড়কের কুন্দইল পয়েন্টে ৫০০ মিটার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় এক সপ্তাহ যাবৎ ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে পরিবহন সরাসরি যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছে বিলাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রুহাই গ্রামের পূর্ব পাশের তেতিগাড়ী নামক স্থান পর্যন্ত গুরুদাসপুর উপজেলার শেষ সীমানা। তাড়াশ উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানও তেতিগাড়ী পর্যন্ত।

গুরুদাসপুর বড়াই গ্রাম আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি রুহাই থেকে তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল পর্যন্ত বর্ধিত করণের মাধ্যমে পুনরায় ট্রেন্ডার আহবান করে কাজ শুরু করেন।

কিন্তু সিডিউলে যে সকল স্থানে মাটি ধরা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেই সকল স্থানে কোন প্রকার মাটির কাজ না করেই নীচু স্থান সমূহ নীচুই করে গেছে। ফলে বর্ষা শুরুর আগেই কুন্দইল গ্রামের পশ্চিম পাশের প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। এই রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়াতে তাড়াশ-গুরুদাসপুর সড়ক যোগাযোগ কিছুটা হলেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, সিডিউল মোতাবেক কাজ করলে এই ভোগান্তির শিকার হতে হত না। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার একদম নীচু স্থানে কয়েক লক্ষ টাকার মাটির কাজ করার কথা থাকলেও তারা সে কাজ না করেই কোন মতে মাটি সমান করে দিয়ে গত বছর বন্যার সময় তাড়াতাড়ি করে কাজ শেষ করছে। সিডিউলে যে মাটির কাজ করার কথা উল্লেখ ছিল তার একভাগ কাজও করে নাই।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে খুবজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম দোলন ও সগুনার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম আরজু জানান, বিলসা থেকে কুন্দইল হয়ে দিঘিসগুনা পর্যন্ত উঁচু সড়ক নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ হবে না।

(এমএমএইচ/পিএস/জুন ২০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test