E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদারীপুরে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

২০১৫ জুন ২৪ ১৯:২০:৩৮
মাদারীপুরে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার

মাদারীপুর প্রতিনিধি :মাদারীপুরের রজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে ৯ম শ্রেনির এক ছাত্রী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে প্রথমে রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বুধবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গণধর্ষণের রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিব রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর গ্রামের ঐ স্কুল ছাত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী ফকির কান্দি গ্রামে নানি বাড়ি যাওয়ার পাথে স্থানীয় ৮ বখাটে তাকে মুখ চেপে হাত-পা বেধে স্থানীয় একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

ধর্ষিতার ঠোঁট-মুখ-বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। ভোর রাতে ঐ এলাকার এক গৃহবধু তাকে নগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানকে খবর দেয়। তিনি এসে ঐ ছাত্রীকে চিনতে পেরে তার বাবা-মাকে খবর দেয়। তারা ধর্ষিতাকে প্রথমে রাজৈর ও পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ধর্ষিতা ঐ ছাত্রী সাংবাদিকদের বলে, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা’র আগে আমি বাড়ি থেকে নানি বাড়ি ফকির কান্দি যাওয়ার পথে একই গ্রামের হানিফ মাতুব্বরের ছেলে টিুটু মাতুব্বর (৩৫), আরজ আলী মাতুব্বরের ছেলে হারুন-অর-রশিদ (২৫), জহর আলী মাতুব্বর এর ছেলে বাগান মাতুব্বর (৪০), মালেক কাজীর ছেলে সোহেল কাজী (২৫), ছলে কাজীর ছেলে হাবিব কাজী (৩০), ওয়াজেদ মাতুব্বরের ছেলে আবু কালাম (৩০), ছত্তার মাতুব্বরের ছেলে টুটুল মাতুব্বর (৩৫) ও খালেক মাতুব্বরের ছেলে শহিদুল মাতুব্বর (২৫) আমার মুখ চেপে ধরে হাত-পা চোখ বেধে পাশ্ববর্তী একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমার সালোয়ার-কামিজ ছিড়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

বুধবার ভোরে স্থানীয় এক মহিলা আমাকে রক্তাক্ত ও উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করে তার বাড়ি নিয়ে যায়। আমার উপর পাশবিক নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হয়নি। বরং গণধর্ষণের রিপোর্ট ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, গণধর্ষণের শিকার ঐ স্কুল ছাত্রীর যাবতীয় আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।

রাজৈর থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূঞা জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএসএ/এসসি/জানু২৪,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test