E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিচার বিভাগ ও প্রশাসন মুখোমুখি

জকিগঞ্জে তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করলেন বিচারক

২০১৫ জুন ৩০ ২২:০৪:০৪
জকিগঞ্জে তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করলেন বিচারক

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে বিচারক থাকার কক্ষে তালা দেয়ার ঘটনায় সিলেটের জকিগঞ্জে বিচার বিভাগ ও প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসের একটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করলেন নবাগত বিচারক খায়রুল আমিন।

মঙ্গলবার জকিগঞ্জ আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, জকিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারকরা জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে অবস্থান করে আদালতে বিচারকার্য চালিয়ে যান। গত ২২ জুন জকিগঞ্জ আদালত থেকে বিচারক আকবর হোসেন বদলী হয়ে চলে গেলে তাঁর থাকার কক্ষ জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে জুডিসিয়াল নথি ও আইনের বিভিন্ন বইপত্র থাকাবস্থায় প্রশাসন কর্তৃক কক্ষে অতিরিক্ত আরো ৩টি তালা লাগানো হয়।

মঙ্গলবার নতুন ম্যাজিষ্ট্রেট খায়রুল আমিন জকিগঞ্জে যোগদান করে জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে গিয়ে রুমটি তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তালা খুলে দেয়ার জন্য লোক পাঠান। তখন ইউএনও টিটন খীসা জানান, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমানের নির্দেশে এ তালা লাগানো হয়েছে।

প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষার পর তালা খুলে না দেয়ায় নবাগত বিচারক খায়রুল আমিন পুলিশ দিয়ে রেস্ট হাউসের তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিক, আইনজীবী ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেখলেন তো প্রশাসনের এ দুর্ব্যবহার! এসব করলে বিচার বিভাগ সহ্য করবে না। আমরা চাই প্রশাসনের সাথে আমাদেরও সু-সম্পর্ক থাকুক।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তালা লাগানোর কথা স্বীকার করে বলেন, বেআইনীভাবে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসে অবস্থান করছেন। এজন্য তালা লাগানো হয়েছে। যথাযথভাবে কক্ষ ভাড়া নেয়া হয়নি।

অত্র আদালতের পেশকার রফিক আহমদ জানান, আমরা আইনগতভাবে ভাড়া নিয়ে এই কক্ষটি ব্যবহার করে আসছি। আজকের তারিখ পর্যন্ত আমাদের ভাড়া পরিশোধিত আছে।

আদালতের সিনিয়র আইনজীবী কাওছার রশীদ বাহার বলেন, প্রশাসন আদালত চালানোর ক্ষমতা হারানোর ক্ষোভ থেকেই এসব করছেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, অত্র আদালতের এজলাস থেকে আরো তিনটি কক্ষ আদালতের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হতো। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের সাথে সাথে প্রশাসন একই রাতে সব দখল করে নিয়েছে। বর্তমানে যে স্থান আছে সেখানে এজলাসই চলছে না।

(এসপি/পিএস/জুন ৩০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test