মাগুরায় যৌতুকের বলি শান্তা

মাগুরা প্রতিনিধি : যৌতুকের পালসার মটরসাইকেল দিতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনে  মাগুরার শালিখা উপজেলার নাঘোষা গ্রামে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে শান্তা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে জামাই পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করে নিহতের চাচা লাইচুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শালিখা থানায় মামলা করেছে।

গৃহবধূ শান্তা খাতুনের মামা মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান- প্রায় ১ বছর আগে মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মৃত বাবু শেখের ছেলে বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত পুলিশের সিপাহি মারুফ হোসেনের সাথে শান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মারুফ ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য শান্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর চাপ দিতে থাকে। শান্তার বাবা দিনমজুর শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় জামাইকে বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী ও নগদ টাকা দিয়ে আসছিল। সম্প্রতি শান্তা বাবার বাড়ি এলে জামাই ফোনে তার কাছে ফার্নিচার ও পালসার মটর সাইকেল দাবি করে। শহিদুল ইসলাম ধারদেনা করে কিছু ফার্নিচার তৈরি করে জামাইকে দেয়ার কথা জানায়। বুধবার বিকালে জামাই মারুফ পালসার মটর সাইকেলের দাবিতে শান্তাকে ফোনে যৌতুক না পেলে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। এতে শান্তা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। বুধবার রাতে ঘরের ভিতরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে রাত ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মারুফ, তার মা, ননদ ও ভাসুরসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছে নিহতের চাচা লাইচুর রহমান।

শালিখা থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান- এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

(ডিসি/পিবি/জুলাই ০২,২০১৫)