E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়লেখায় সক্রিয় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা, টার্গেট ঈদ

২০১৫ জুলাই ০৩ ১৯:৩৪:৩৫
বড়লেখায় সক্রিয় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা, টার্গেট ঈদ

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : প্রতি বছরই ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা কিংবা পূজাকে সামনে রেখে নতুন নোট বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উৎসবগুলোতে নতুন নোটের চাহিদা বিবেচনায় এবং পুরাতন ও ছেঁড়াফাটা নোট বাজার থেকে তুলে নিতেই নতুন নোট ছাড়া হয়। আর এই সুযোগটিকেই কাজে লাগায় জাল নোটের ব্যবসায়ীরা।

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ-উল-ফিতরকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়েছে জাল টাকার ব্যবসায়ীরা। আর এদের কাছে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষ।

বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরী করে। সম্প্রতি এ উপজেলার ৪ জন ব্যবসায়ী প্রতারিত হয়েছেন জাল নোট পেয়ে। এছাড়া অনেকে প্রতারণার শিকার হলেও বিষয়টি প্রকাশ করেন না।

উপজেলার সীমান্তবর্তী এক বাজারে ও বড়লেখা পৌর শহরের ৪ জন ব্যবসায়ী জাল নোট পেয়ে প্রতারিত হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, আমি বুঝতেই পারিনি কিভাবে ৪টি ৫’শ টাকার জাল নোট দিয়ে আমাকে প্রতারিত করা হয়েছে। জাল নোট পাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ৩টি নোট ছিঁড়ে ফেলেন। এ প্রতিনিধির কাছে তিনি একটি নোট দেখান যার নম্বর- কঞ ৫০৫৬৩৭৭। এভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে মানুষ। কিন্তু হয়রানির ভয়ে অনেকে প্রশাসনকে অবগত করে না।

প্রতারিত ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের অনেক ছোট-বড় ঘটনা প্রতিদিন ঘটলেও তা প্রকাশ পাচ্ছে না। প্রতারিতরা বলেন, বড়লেখার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন জাল নোট ব্যবসায়ী ও তাদের এজেন্টরা থাবা বসিয়েছে সিন্ডিকেট তৈরীর মাধ্যমে। যারা বাজারে জাল নোট ছড়ায় তারা আসলে চুনোপুঁটি। পর্দার আড়ালে আছে প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালরা। রাঘব বোয়ালদের দ্রুত গ্রেফতার করা হলে জাল নোটের প্রতারণা থেকে মানুষ রেহাই পাবে।

এ ব্যাপারে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে আমাদের গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজার কেন্দ্রীক একটি জাল নোটের ব্যবসায়ী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসে। এদের সাথে স্থানীয় কয়েকজনও রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। হাট ও বাজারে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়ন আছে। এছাড়া জাল নোট শনাক্তকরণে আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ও কলম।

(এলএস/পিএস/জুলাই ০৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test