E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাট ও মংলা শহরে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

২০১৫ জুলাই ০৯ ১৪:৩৪:২১
বাগেরহাট ও মংলা শহরে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : দু’দিনের ভারী বর্ষণে জেলা সদর বাগেরহাট ও বন্দর শহর মংলা পোর্ট পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও  আবাসিক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় উপকূলের এই দু’টি শহরের লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

মংলা পোর্ট পৌর শহরের মধ্যে তিনটি খালে - সুইস গেট নির্মাণ ও ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় বৃষ্টির পানি জমে দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় বাগেরহাট ও মংলা শহরের লক্ষাধিক পানি বন্দি মানুষের দুর্ভগ চরমে পৌঁছেছে। শহর দু’টির নিম্মাঞ্চলসহ অনেক আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ীর মধ্যে হাটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানিতে থৈ থৈ করছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বর্ষা মৌসুমের আগে পানি নিষ্কাশনে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় এখন স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয়ে মাত্র দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে বাগেরহাট ও পোর্ট পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে লোকজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানি নামতে না পেরে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। বাগেরহাট শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক মিঠাপুকুর পাড়, শালতলা, সাধনার মোড়, কাজী নজরুল ইসলাম রোড, রাহাতের মোড়, পুরাতন কোর্ট, মডেল থানা চত্তর, শহীদ অজিয়র রোড, আলিয়া মাদ্রাসা রোড, ভিআইপি রোড এমনকি খোদ পৌরসভার সামনের রেলরোডও হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব রোডের দু’পার্শ্বের অধিকাংশ দোকানপাট তলিয়ে গেছে।

শহরের খারদ্বার, বাসাবাটি, নাগেরবাজার, সরুই আমরাপাড়া, মুনিগঞ্জ, মালোপাড়া, হাড়িখালী, গোবরদিয়া, খানজাহান পল্লীসহ শহর রক্ষা বাধেঁর ভিতরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকার নীচতলার বাসা-বাড়ি বৃষ্টির পানিতে ডুবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে পৌরবাসিরা বৃষ্টির পানিতে ডুবে হচ্ছে। মংলা শহরের কুমারখালী, ঠাকুর রানী ও কাইনমারী খালে এই বর্ষা মৌসুমে-সুইস গেট নির্মাণ করায় বাঁধ দিয়ে খাল ৩টি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বৃষ্টিতে জমা হওয়া পৌর এলাকার পানি নিস্কাশন হতে পারছে না। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ কাজ চলায় অধিকাংশ ড্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এ কারণেও বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। অপরদিকে পৌরসভার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এখন পর্যন্ত কোন ড্রেন নির্মাণ করা হয়নি। এসব এলাকার বৃষ্টির পানি কোন অবস্থাতেই নিস্কাশন হতে পারছে না। শহরতলীর শেলাবুনিয়া, কুমারখালী, মিয়া পাড়া, জয় বাংলা, চরকানা, সিগনাল টাওয়ার, কবরস্থানসহ অধিকাংশ আবাসিক এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভগ পোহাচ্ছে।

অনেক এলাকার রাস্তা ঘাট পানিতে ডুবে থাকায় পথচারিসহ যানবাহন চালকরা অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ি, পুকুর, বাড়ির ওঠানসহ সব কিছু পানিতে ডুবে রয়েছে। অনেক বাসা-বাড়ির রান্না করার জায়গা পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এই অবস্থায় গৃহ পালিত পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে পরিবারগুলোর ভোগান্তির শেষ নেই। জমে থাকা পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়ায় মারাত্বক পরিবেশ দুষণ ঘটচ্ছে। দেখা দিয়েছে নানা রোগ।

(একে/এসএফকে/জুলাই ০৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test