E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লক্ষ্মীপুরে ঈদের বাজার জমজমাট

২০১৫ জুলাই ১৩ ১৪:৫১:৪৬
লক্ষ্মীপুরে ঈদের বাজার জমজমাট

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :আর কদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মূহুর্তে ধুম পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় ঈদের বাজার জমে ওঠেছে  কেনাকাটার। তবে ঈদ বাজারে এবার ভারতীয় পোশাকের দাপটে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে দেশীয় পোশাক শিল্প। শহরের অভিজাত বিপনী বিতানগুলো ভারতীয় বিভিন্ন সিরিয়াল ও সিনেমার নায়িকাদের নামে নতুন নতুন ফ্যাশনের বিভিন্ন ব্যান্ডের নিত্যনতুন কাপড়ের সমাহার নিয়ে দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।

সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। বিক্রিও বিগত ঈদের চেয়ে এবার অনেক ভালো বলে জানান বিক্রেতারা।

প্রতিটি দোকানে ভারতীয় সিরিয়াল বা সিনেমার নায়িকাদের নামে নামি দামি ব্যান্ডে শাড়ি, থ্রী-পিচ ও শার্ট প্যান্টসহ ছোট ছেলে-মেয়েদের কাপড়ের সমাহার ঘটিয়েছেন দোকানীরা। ফলে নিত্য নতুন পোষাকে ইতিমধ্যেই ভরে গেছে প্রতিটি দোকান। তরুণ তরুণীর সাথে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদেরও ভারতীয় পোশাকপ্রীতি লক্ষণীয় হারে বেড়ে চলেছে। বাদ নেই তরুণরাও।

গত ২১ জুন মাসে ভারতীয় সিরিয়ালের কিরণমালা জামা কিনতে না পেরে তাছলিমা আক্তার (১২) নামে এক ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ বছর ঈদের বাজার দখল করে রেখেন পাখি, কিরণমালা, জলপরী, ঝিনুকমালা, রায় কিশোরী, পানিডেন্স, পোলরর্টাস, কটকটি, আনারকলি, মাসাককলি ও ক্যাটরিনা।

রায়পুর শহরের আকর্ষন ১১ তলা শপিং কমপে¬ক্স গাজী সুপার মার্কেট। এ মার্কেটের দোকানগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভীড়। এছাড়া মিয়াজী সুপার মার্কেট, রায়পুর সুপার মার্কেট, ভূঁইয়া মার্কেট, পাঁচ তলা মার্কেট ও রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্স , লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধা মাকেট, সিটি মার্কেট ও হকার মার্কেটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা।

তবে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন, বিক্রেতারা এবার বিভিন্ন জিনিসের দাম গতবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন বেশি নিচ্ছে। অন্যদিকে দোকানী বা বিক্রেতাদের দাবি হলো, সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে জামা কাপড় কিনতে হচ্ছে। সেজন্য তারা বেশি দামেই বিক্রি করছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় কমপে¬ক্স গাজী সুপার মার্কেটের বিপনিবিতানে চরপাতা এলাকার সামি আক্তার নামের এক দশম শ্রেণীর ছাত্রী এসেছেন কেনাকাটা করতে। ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন আত্মীয়স্বজনদের ঈদ উপহারের কেনাকাটা করছি বললেন সামি। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ছুটছে এক বিপণিকেন্দ্র থেকে অন্যটিতে। পছন্দের পোশাকটি নিতে চায়। তরুণীরা ছুটছে ভারতীয় লং কামিজের খোঁজে, সঙ্গে চুড়িদার পায়জামা। সামি ওই মাকের্ট থেকে ঈদের রাতের জন্য একটি ভারতীয় লং কামিজ কিনেছেন। কামিজটি দাম ছয় হাজার টাকায়। দামসহ সব দিক থেকেই এটি আমার পছন্দ হয়েছে।

গাজী সুপার মার্কেটের বধুয়া বিউটি পার্লার এন্ড কসমেটিক্স এর মালিক প্রিয়া আক্তার জানান, বিগত দিনের চেয়ে এবার তাদের বিক্রি ভালো। ক্রেতারা জামা কাপড় কিনে শেষ মূহুর্তে কসমেটিক্স ও পার্লারের সাজের দিকে এসে ঝুকে পড়েছেন।

রূপসী বাংলা এর মালিক মো. আরিফ বলেন, আমরা চেষ্টা করি সবাই যেন সাধ সাধ্যের মধ্যে কাপড় কিনতে পারে। সেভাবেই আমরা কাপড়ের সমাহার ঘটিয়েছি। তাছাড়া বেশি দাম নেয়ার সুযোগ নাই। কারন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এটা সম্ভব নয়।

রামগঞ্জ উপজেলার জিয়া শপিং কমপে¬ক্সের প্রিয়জন ফ্যাশনের মালিক খালেদ মাহমুদ ফারুক বলেন, বিগত দিনের চেয়ে জামা কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সাধ্যমত সরবরাহ করতে পারছেন না। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। তবে বেচাবিক্রি ভালো।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের মার্কেটগুলোতে টহল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশৃংখলতা ছাড়া ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান।


(এমআর/এসসি/জুলাই১৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test