E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লক্ষ্মীপুরে প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে!

২০১৫ জুলাই ১৫ ১৬:০০:৩১
লক্ষ্মীপুরে প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এ পর্যন্ত পৃথক ভাবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বেড়ে চলছে মৃত্যুর সংখ্যা। পর  পর কয়েকটি ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসা রুগীর মা ও সন্তানের মৃত্যুতে নিহতের স্বজনদের  মাঝেও এক ধরণের ক্ষোভ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। অপরদিকে অহরহ রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসা আতঙ্কে কমে গেছে রোগীর সংখ্যাও।

সম্প্রতি প্রসূতিকালে শহরের মাদারল্যান্ড হাসপাতাল (প্রা:) ও মডেল হাসপাতালে মা-সন্তান এবং সন্তানসহ তিনটি মৃত্যুর ঘটনায় এ অব স্থার কারণ মনে করছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার প্রতিবাদে নিহতদের স্বজনরা মডেল হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেন।

পরে বাধাদিতে গেলে বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালের কর্মচারী তছলিম,জামাল উদ্দিন ও ইউসুফ নামে তিনজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পুলিশ জানান,হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জাহিদ হোসেন,মাইন উদ্দিন ও সফিউল্যাসহ তিনজনকে আটক করেন ।

নিহতদের স্বজনরা ও স্থানীয়দের অভিযোগ,পর পর কয়েকদিনের ব্যবধানে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন মাদারল্যান্ড হাসপাতাল (প্রা:) চিকিৎসা নিতে এসে শহরের মোবারক কলোনী এলাকার তছলীম উদ্দিনের স্ত্রী গৃহবধু সুরমা আক্তারের প্রসূতিকালের সন্তান। কিছুদিন পূর্বে একই অভিযোগে মারাগেছেন মডেল হাসপাতালে চিকিৎসারত পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামের ফিরোজ আলমের স্ত্রী লিপি আক্তার ও তার নবজাতক সন্তান ।

নিহত লিপি আক্তারের বাবা লেদু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মৃত্যুর তিনদিন আগে লিপি আক্তারকে গর্ভবতী অবস্থায় সন্তান সম্ভাবনা মুহুর্তে মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তিরত লিপি আক্তারকে পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার পর ইনজেকশান পুশ করার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসারত লিপি আক্তারসহ পরে নবজাতক শিশুও মারা যান। চিকিৎসার অবহেলাকে দায়ী করেছেন তিনি।

এদিকে সুরমা আক্তার তার নবজাতক শিশু মৃত্যুর জন্য মাদারল্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক সোহাদা ইসলাম কে দায়ী করে বলেন, এ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার সন্তান মারা যাওয়ার পর এখন তিনি নিজেও মৃত্যুর পথযাত্রী।

টেলিফোনে আলাপকালে মাদারল্যান্ড হাসপাতাল এর চিকিৎসক সোহাদা ইসলাম জানান, হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু এটা কোনও নতুন ঘটনা না। চিকিৎসায় দু’একটা রোগী তো মারা যাবে এটা স্বাভাবিক। নিহতের স্বজনদেরও তা মেনে নিতে হবে। মাদারল্যান্ড হাসপাতাল আমার শ্বশুরের প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে টাকার জন্য তিনি সময় দেন না। মানুষের সেবার জন্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি বলে স্বীকার করেন চিকিৎসক সোহাদা ইসলাম।

শহর পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মো. আবদুল করিম জানান, চিকিৎসার অবহেলায় রুগী মৃত্যুর তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহত পরিবার স্বজনদের অভিযোগে ইতো পূর্বে তিনি ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো গোলাম ফারুক ভুঁইয়া জানান, প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে কোন অনিয়ম ও অবহেলা তদন্তে সাপেক্ষে ধরা পড়লে প্রয়োজনে ওই সব হাপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে ।

(এমআরএস/এএস/জুলাই ১৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test